ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য সংকট রেকর্ড বাস্তুচ্যুতিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ইউএনএইচসিআর প্রধান।
গ্লোবাল নিউজ ফাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সংস্থার একটি জরিপে দেখা গেছে, ২০২১ সালের শেষ দিকে নিপীড়ন, সংঘাত, অপব্যবহার ও সহিংসতার ফলে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক মিলিয়ন ওই দেশটি থেকে পালিয়ে গেছে বা সীমানার অভ্যন্তরেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইউক্রেন থেকে শস্য রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ আরও অনেকের স্থানচ্যুতি ঘটতে পারে।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, যুদ্ধ, মানবাধিকার, জলবায়ু- সব কিছুর ওপরেও যদি খাদ্য সংকট থাকে তাহলে সেটি হবে ভয়ঙ্কর। এটি দ্রুত সমাধান না হলে স্পষ্টতই প্রভাবটি বেশ বিধ্বংসী হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধি এবং সহিংস বিদ্রোহের ফলে লোকজনের পালিয়ে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ করেন।
ইউএনএইচসিআর রিপোর্ট বলছে, সামগ্রিকভাবে গত এক দশকে প্রতি বছর বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা বেড়েছে। এটি এখন ২০২১ সালে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৪২ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষের চেয়েও দ্বিগুণ।
এক নজরে ইউক্রেন যুদ্ধের আপডেট-
আল জাজিরার লাইভ আপডেট অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনকে আরও কামান ও উপকূলীয় প্রতিরক্ষা অস্ত্রসহ নিরাপত্তা সহায়তায় অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার দেবে ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির কিয়েভ সফরের কথা রয়েছে।
সেভেরোডোনেটস্কের আজট রাসায়নিক প্ল্যান্টের ভেতর আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা আত্মসমর্পণের জন্য রাশিয়ার দেওয়া আল্টিমেটাম উপেক্ষা করেছে। এদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, ওই রাসায়নিক প্ল্যান্ট থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে ইউক্রেনের বাহিনী।
সেভেরোডোনেটস্কে আটকে পড়া হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের প্রয়োজনীয় সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, ১৬ জুন, ২০২২
এমজে