এক ঘরে সাতজন, অন্য ঘরে পাঁচজন, আরেকটিতে চারজন, আরেকটি ঘরে তিনজন। তারা কেউই আর বেঁচে নেই।
শাবির নামে বেঁচে যাওয়া আরেকজন বলেন, একটা গর্জন হলো। পরে আমার বিছানা কাঁপতে লাগল।
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের পরদিন দেশটির চিকিৎসকেরা দাবি করেছেন, এ দুর্যোগে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও পৌঁছাতে পারেনি আফগান সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদল ও সেনাসদস্যরা।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দিনগত রাতে আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ মানুষ। এখনো অনেক মানুষই ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছেন।
এমন দুর্যোগে বিদেশি সহায়তা চেয়েছে আফগানিস্তান। তালেবানের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারছি না।
এ ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশ। সেখানকার মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে জাতিসংঘ।
ভূমিকম্পের পর বেঁচে যাওয়া ও উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, কয়েকটি গ্রাম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকতিকার গায়ান ও বারমাল জেলা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়ার পর গত আগস্টে তালেবান দেশটির ক্ষমতায় যায়। এক সময়ের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ক্ষমতা দখলের পর থেকে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে বিভিন্ন দেশ। এরমধ্যেই এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটল।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
ইআর