ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রধানমন্ত্রীর রবীন্দ্রানুরাগ ও সংস্কৃতি প্রেম আমাদের পাথেয়’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
‘প্রধানমন্ত্রীর রবীন্দ্রানুরাগ ও সংস্কৃতি প্রেম আমাদের পাথেয়’

সিরাজগঞ্জ: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ এবং বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে পথ চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর রবীন্দ্রানুরাগ এবং সংস্কৃতিপ্রেম আমাদের পাথেয়।

 আমরা প্রত্যাশা করি প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তার স্নেহের হাতটি বাড়িয়ে দেবেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মতবিনিময় সভায় নিজের বক্তেব্যে এমনটা প্রত্যাশা করেন রবি ভিসি।  

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশে কবিগুরুর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর ২০১৫ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংগীতের অমর স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন।  আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার সংকট থাকলেও অস্থায়ী অবকাঠামোতে সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠনের চর্চার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেষ্ট রয়েছি।  

রবি ভিসি আরও বলেন, আমরা এরই মধ্যেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ স্থাপন প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। সেটা নিরীক্ষাধীন রয়েছে।  

প্রধামন্ত্রীর উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, আপনার আনুকূল্য পেলে নিশ্চয়ই আপনার তৈরি প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরতে পারবে। যেভাবে আপনার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে, তেমনিভাবে আপনার হাতেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মিত হবে। বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শাহজাদপুরে আসার আমন্ত্রণও জানান।  

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তৃতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি তার যে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা রয়েছে তা ব্যক্ত করেন। সঙ্গে সঙ্গে গুণগত শিক্ষা, মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রতি উপাচার্যদের আহ্বান জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ডুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর হাবিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর মশিউর রহমান বক্তব্য রাখেন।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।