ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি প্রাইজ’ পেয়েছে লিডার্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
‘জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি প্রাইজ’ পেয়েছে লিডার্স

ঢাকা: সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রাখায় স্বীকৃতিস্বরূপ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি প্রাইজ- ২০২৩’ পেয়েছে বাংলাদেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকাল এনভাইরনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্স সোসাইটি (লিডার্স)।

রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানান সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি প্রাইজ-২০২৩’ প্রদান উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহসহ পানি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য পুরস্কার পায় লিডার্স। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

যে কাজের জন্য লিডার্স পুরস্কার পেয়েছে সেটির বিস্তারিত তুলে ধরে মোহন কুমার মণ্ডল বলেন, উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানি ও কৃষিকাজে সেচের পানির সংকট নিরসনে লিডার্স সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে। সুপেয় পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তারা ১৮৫টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম, ৬৫টি পিএসএফ, ১০টি এমএআর, ৫ হাজার ২৫০টি বায়োস্যান্ড ফিল্টার স্থাপন, ২১টি পুকুর খনন ও ২টি রিভার্স অসমোসিস স্থাপন করেছে।

এছাড়া কৃষি ক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য ৭টি গভীর নলকূপ স্থাপন, ৩টি খাল খনন এবং ৬৯টি মিনি পুকুর খনন করেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তত ১৫ হাজার ৮৮১ পরিবারের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে। ভূ-পৃষ্ঠের এবং লবণাক্ত ভূ-গর্ভস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের কারণে প্রায় ৫০০ একর জমি শুষ্ক মৌসুমে কৃষি উৎপাদনের আওতায় এসেছে।

তিনি আরও জানান, টেকসই উন্নয়নের শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দিতে ২০০৮ সাল থেকে অলাভজনক সংস্থা, ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগতাদের ‘জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি প্রাইজ’ দেওয়া শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মানবতাবাদের উত্তরাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এই পুরস্কারটি তার নামে নামকরণ করা হয়। প্রতি বছর বিজয়ীদের স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয়।

মোহন কুমার মণ্ডল আরও বলেন, এই পুরস্কার প্রাপ্তি লিডার্সের কার্যক্রমকে আরও বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি উপকূলীয় মানুষের সংকট নিরসনে সরকার এবং সকল উন্নয়ন সহযোগি ও দাতা সংস্থাগুলোকে সমন্বিত ও গতিশীল উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বরেণ্য সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, ডিইউজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিলা পারভীন এব্য ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের রিসার্চ অ্যান্ড ইম্প্লিমেন্টেশন ম্যানেজার মো. ইকবাল ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

লিডার্স এনজিওএবি নিবন্ধিত একটি অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন, যা ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও অভিযোজন কৌশল উদ্ভাবন, পানি সংকট নিরসন, যুব সমাজকে সামাজিক কাজে সম্পৃক্তকরণ, দরিদ্র পরিবারে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, বাঘ বিধবাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, কৃষি শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ উপকূলীয় এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
এসসি/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।