ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

কুষ্টিয়া: পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কুষ্টিয়া আদালত প্রাঙ্গণে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক রাজু আহমেদ। তিনি ঢাকা পোস্টের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।

 

বুধবার (২১ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুষ্টিয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় রাতেই কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক রাজু আহমেদ।

হামলায় অভিযুক্তরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী গ্রামের জালাল খাঁর ছেলে মাসুদ খাঁ (৩০), একই গ্রামের আক্কাস শেখের ছেলে সামাদ (৬০), নৈমুদ্দিন সিকদারের ছেলে আবু তালেব (৪৫), কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর গ্রামের রফিকুল সিকদারে ছেলে বকুল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জন।

হামলার শিকার রাজু জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী গ্রামে তিনজনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় ৪০ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে আমি কুষ্টিয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। এ কারণে আসামিপক্ষের ২০ থেকে ২৫ জন আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এসময় তারা আমাকে হত্যার হুমকিও দেয়। পরে আদালত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন আমাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন। এ ঘটনায় আমি এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

প্রত্যক্ষদর্শী নিউজনাউটোয়েন্টিফোর.কমের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মেজবাহ উদ্দিন পলাশ জানান, আদালত প্রাঙ্গণে নিউজের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশের সামনেই রাজুকে মারপিট করে এবং হত্যার হুমকি দেয় আসামিপক্ষের লোকজন। আদালতে সাংবাদিকের ওপর হামলা ও হত্যার হুমকি, খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগর জানান, আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের সামনে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক রাজু আহমেদ। এটা আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তি চাই। তা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) জহুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ২৭ এপ্রিল দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চিলমারী বাজারপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিনজন মারা যান। এ ঘটনার পরদিন ২৮ এপ্রিল ৭৩ জনের নামসহ ১০০-১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।