ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন 

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
সালথায় সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন 

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথার বুড়িদিয়া-খোয়াড় সড়কের মালঞ্চ বিলের ওপর সেতু থাকলেও সংযোগ সড়কের বেহাল দশার কারণে এর সুফল পাচ্ছে না স্থানীয় বাসিন্দারা।  

সেতুটির সংযোগ সড়ক দিয়ে যান চলাচল তো দূরের কথা হেঁটে চলাচলও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ ও কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

এরপরও সংযোগ সড়ক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এভাবেই চলছে প্রায় ৬-৭ বছর।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সালথা উপজেলার আটঘর ও গট্টি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বুড়িদিয়া ও খোয়াড় গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে মালঞ্চ বিল। বিলের ওপর প্রায় ১০ আগে সেতুটি নির্মিত হয়। কিন্তু এর সংযোগ সড়কে যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দুই ইউনিয়নের গৌড়দিয়া, গোয়ালপাড়া, গোবিষন্দপুর, সেনহাটি, খোয়াড়, বুড়িদিয়া, নারায়ণপুর, সিংহপ্রতাপ, মেম্বার গট্টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কৃষকরা তাদের পণ্য মাথায় নিয়ে বাজারজাত করছেন। এছাড়া সালথা সদরে কোনো পণ্য নিতে হলে ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে । এতে করে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। তাছাড়া শত শত শিক্ষার্থীকে হেঁটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে।

সেতু সংলগ্ন সিংহপ্রতাপ স্কুলের সহকারী শিক্ষক খোয়াড় গ্রামের বাসিন্দা রাজিয়া খানম বলেন, ৬-৭ বছর ধরে রাস্তা বেহাল দশা। যে কারণে এই সেতু দিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। আমাদের স্কুলের ছেলে-মেয়েদের হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। এতে অনেক সময় তারা সঠিক সময়ে স্কুলে আসতে পারে না, এতে লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে।

সিংহপ্রতাব গ্রামের মো. কুদ্দুস মাতুব্বর বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় আমাদের চলাচলে চরম অসুবিধা হচ্ছে। কৃষিপণ্য ও বিভিন্ন মালপত্র আনা নেওয়ায় সালথা উপজেলা সদরে যেতে হলে অন্য রাস্তা দিয়ে ছয়-সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়।  

এ বিষয়ে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে কয়েক গ্রামের মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই। যানবাহন তো দূরে থাক হেঁটেও মানুষ চলতে পারে না এখন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি একাধিকবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

স্থানীয় আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, জনগণের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।  

এ প্রসঙ্গে সালথা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু জাফর বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সেতুর সংযোগ সড়ক দ্রুত মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক দ্রুত মেরামত করার  জন্য নতুন প্রকল্প দেওয়া হয়েছে, খুব শিগগিরই সড়কের কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।