অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের গ্রেপ্তারে সম্প্রতি সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ব্যবহার বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডব্লিউ।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ৮ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের মানবাধিকার দলের নির্বিচারে আটক ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো উচিত। এছাড়া জাতিসংঘের ওই দলের উচিত হবে মানবাধিকার রক্ষা ও রাজনৈতিক সহিংসতায় জাড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, টানা তিন সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২০২৪ সালের অগাস্টে ক্ষমতা গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই বিক্ষোভে নিহত হন প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষ।
সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫ সালের ১২ মে আওয়ামী লীগকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ (কার্যক্রম) করে। দলটির সমর্থনে যেকোনো সভা, প্রকাশনা ও অনলাইনে দেওয়া বক্তব্য এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও ‘শান্তিবাদী অ্যাক্টিভিস্টদের’ গ্রেপ্তারে আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কারাগারে পাঠানো হোক অথবা শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া হোক, অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ করা উচিত নয় যা শেখ হাসিনার সরকারের সময় বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে করা হয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, অসংখ্য মানুষকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক রাখা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করাসহ পুলিশ হেফাজতে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ শেখ হাসিনার শাসনামলের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
এনডি/এইচএ/