ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরগুনায় রাখাইন জনগোষ্ঠীর জমি দখলের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৪
বরগুনায় রাখাইন জনগোষ্ঠীর জমি দখলের অভিযোগ ভুক্তভোগী মাব্রেসে নামের রাখাইন সম্প্রদায়ের এক নারী

বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলায় পুলিশের এক সদস্যদের উপস্থিতিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইনের বপনকৃত আমন ধানের বীজতলা নষ্ট করে জমি দখলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগে সোমবার (২৯ জুলাই) ভুক্তভোগী পরিবার বরগুনা পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

জানা গেছে, রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে জেলা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী গ্রামের রাখাইন সম্প্রদায়ে সদস্য আলাগ্রীর স্ত্রী মাব্রেসের কৃষি জমিতে প্রতিপক্ষ মৃত হাতেম হাওলাদারের ছেলে পনু মিয়ার নেতৃত্বে গোলাম রসুল, মো, আলম, মো. হাসান, পনু মল্লিক, আ. খালেক বিশ্বাসসহ ২০-২৫ জন লোক নিয়ে পুলিশ সদস্য অরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে মাব্রেসের বপনকৃত চার মণ আমন ধানের চারা নষ্ট করে দেন তার ছেলে নাজমুল।  

ঘটনার বিবরণে আরও জানা গেছে, অত্র জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক মাব্রেসে। তার পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে কিছু জমি প্রতিপক্ষ পনু গং কিনে নেন। তবে যে পরিমাণ জমি তারা কিনেছেন তার থেকে বেশি জমি জোরজবরদস্তি করে ভোগ দখল চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সদলবলে পনু গং এসে চার মণ ধানের বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয় এবং রাখাইন মাব্রেসেকে লাঞ্ছিত করে এবং তাকে দেশ ছাড়া করারও হুমকি দেন।  

প্রতিবেশী আউয়াল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ফোরকান এবং বাবুল মল্লিক জানান, পনু গং দীর্ঘদিন ধরে রাখাইন মাব্রেসের জমি দখল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে একাধিক বার সালিশ-বৈঠক করেন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তাবে তারা তাদের সালিশির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জবরদস্তি মাব্রেসের জমি দখল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এমনকি ওইসব জমির বিষয় নিয়ে বরগুনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ৩০৩/২০২২ নম্বর মোকদ্দমাও চলমান আছে। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও পনু গং পুলিশ ইন্সপেক্টর আরিফকে সঙ্গে নিয়ে অসহায় রাখাইন মাব্রেসের চার মণ ধানের বীজতলা নষ্ট করা হয়।

ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক মাব্রেসে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি অত্র জমি ভোগদখল করে আসছি। জমিতে বপনকৃত চার মণ ধানের বীজ এসআই আরিফের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ পনু গং নষ্ট করে দেন এবং আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত করে দেশ ছাড়া করার হুমকি দেন। এ বিষয়ে আমি বরগুনা এসপি মো. রাফিউল আলম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।  

বরগুনা সদর থানার সাব ইনসপেক্টর আরিফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তবে আমার উপস্থিতিতে কোনো ঘটনা ঘটেনি।  

তবে এ বিষয়ে এসপি রাফিউল আলমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।