ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ মে ২০২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

লালবাগে অটোরিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:২৯, জানুয়ারি ১, ২০২৫
লালবাগে অটোরিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যা প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর লালবাগ জেএন সাহা রোডের লিবার্টি ক্লাবের সামনে থেকে মাহবুব আলম (৩২) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জেএন সাহা রোডের লিবার্টি ক্লাবের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে লালবাগ থানা পুলিশ।  পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু জানান, রাতে খবর পেয়ে জেএন সাহা রোডের ক্লাবের সামনে মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়া দুই হাত শরীরে ও পায়ে পুরাতন ব্যান্ডেজ ছিল।

তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি অটোরিকশা চালক ছিল। তবে তার নামে লালবাগ থানায় হত্যা মামলাসহ দুইটি মামলা আছে। প্রাথমকিভাবে জানা গেছে গ্রুপিং নিয়ে দ্বন্দ্বে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃত মাহবুব আলমের ছোট বোন জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বর্তমানে মাহবুব স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ও এক মেয়েকে নিয়ে লালবাগ শহীদনগর ৮ নম্বর গলিতে বেলায়েত মিয়ার বাড়ির ভাড়া থাকতো। পেশায় ভাড়ায় অটোরিকশা চালক। গতরাত ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন, আতশবাজি ফোটানো দেখবে বলে। ভোরে খবর পাই পুলিশ ক্লাবের সামনে থেকে রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, ১৫দিন আগে লালাবগ কেল্লা এলাকায় কে বা কারা মাহবুবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তখন শ্যামলীর ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৪ দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেয়। এখনও হাতসহ শরীরে ব্যান্ডেজ করা ছিল। এ অবস্থাতে আবার তাকে কুপিয়েছে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছিল, তখন মাহবুব আমাদের কিছুই বলেনি। এমনকি থানাতেও কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৫
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।