ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মসজিদের অর্ধেক কাজ করে বিল নিয়ে চলে গেছেন ঠিকাদার, ভোগান্তিতে মুসল্লিরা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
মসজিদের অর্ধেক কাজ করে বিল নিয়ে চলে গেছেন ঠিকাদার, ভোগান্তিতে মুসল্লিরা 

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর প্রধান ডাকঘরের মসজিদ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মুসল্লিদের অভিযোগ, কাজ সম্পন্ন না করেই বিল তুলে নিয়ে চলে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ফলে অসম্পন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করতে না পেরে দূরের মসজিদে যেতে হচ্ছে তাদের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে কাজ শেষ করার দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনও প্রকল্পের কাজ বুঝে পাননি তারা।  

জানা গেছে, রাজবাড়ী প্রধান ডাকঘরের পুরাতন মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মে মাসে। ৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ফরিদপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাসুদ বিল্ডার্স। মসজিদের কাজ শেষ না করেই এরইমধ্যে প্রকল্পের পুরো টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে আছে মসজিদের ভেতরে। বারান্দায় জমে আছে গাছের পাতা। ওযুখানায়ও জমে আছে ময়লার স্তূপ।

এসময় স্থানীয় মুসল্লি মো. রাজীব বলেন, পুরাতন মসজিদটিতে আমরা নিয়মিত নামাজ আদায় করতাম। সেই মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদ নির্মাণ করতে দেখে আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মসজিদের কাজ সম্পন্ন না করেই পুরো বিল তুলে নিয়ে চলে গেছে। এখন আমাদের দূরের মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে।

আরেক মুসল্লি মো. স্বপন বলেন, এই মসজিদের যতটুকু কাজ করা হয়েছে তাতে বেশিরভাগই পুরাতন মসজিদের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে। বারান্দায় টাইলস লাগানোর কথা ছিল তা লাগায়নি, ভেতরে সিলিং লাগায়নি। মসজিদের অর্ধেক কাজ এখনো বাকি আছে। এখানে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার কাজ করে ঠিকাদার বিল তুলে নিয়ে চলে গেছে। আমাদের দাবি, মসজিদটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুদ বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুব বলেন, নিয়ম মেনে কাজ শেষ করে ডাকঘর কর্তৃপক্ষকে মসজিদ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার যতটুকু কাজ করার কথা ছিল, আমি তারচেয়ে বেশিই কাজ করেছি।

তবে ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার বিকাশ চন্দ্র বলেন, মসজিদের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে মসজিদ হস্তান্তর করেনি। যদি তারা হস্তান্তর করেছে বলে দাবি করেও থাকে, তাহলে সেটি মিথ্যা কথা বলেছে। আমি মসজিদটি নামাজের উপযোগী করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫ 
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।