ঢাকা, বুধবার, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ মার্চ ২০২৫, ১১ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

৬ দফা দাবিতে শাহবাগে অনড় অবস্থানে কলেজশিক্ষার্থীরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৫
৬ দফা দাবিতে শাহবাগে অনড় অবস্থানে কলেজশিক্ষার্থীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

ঢাকা: ধর্ষকদের প্রকাশ্যে শাস্তি নিশ্চিতসহ ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।  

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন।

পরে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ১৫ মিনিট পর তারা অবরোধ তুলে পুনরায় জাদুঘরের সামনে সরে আসেন।  

এ সময় তারা ধর্ষকদের ফাঁসি চেয়ে একাধিক স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান করার কথা রয়েছে।

তাদের দাবিগুলো হলো-
১. ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে নিশ্চিত করা। ধর্ষকদের শাস্তি প্রকাশ্যে নিশ্চিত হলে সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে।  

২. ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সম্পূর্ণ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে। প্রয়োজনে ধর্ষকদের বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে।

৩. দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যদি কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা, মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করা এবং ভিকটিম ও সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পরবর্তী ১৫ কার্যদিবস সময়ে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষকের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার মধ্যে একটিতেও অসামঞ্জস্য থাকলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা বাড়াতে হবে।

৪. ধর্ষণের ঘটনায় সালিশি বিচার নিষিদ্ধ করতে হবে। বিচার নিশ্চিত করবে শুধুমাত্র রাষ্ট্র। পাশাপাশি অনৈতিক পন্থায় প্রশাসনের কারও সহযোগিতায় যদি ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামি ছাড়া পায়, তবে তদন্ত অনুযায়ী তাকে চাকরিচ্যুত করতে হবে।  

৫. ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলেও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিধান করা যেতে পারে।  

৬. চলমান মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

দাবি সম্পর্কে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাহসীনুল ইনাম অপু বলেন, অন্যান্য দেশে ধর্ষণের বিচার খুব দ্রুত হয়। আমাদের এখানে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা থাকে। কয়েকদিন জেলে রেখে ধর্ষককে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।  

আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হোসাইন ইমন বলেন, আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে থাকবো। আমাদের ছয়টি দাবি আছে। দেশব্যাপী যেভাবে ধর্ষণ হচ্ছে, নারীদের ওপর নিপীড়ন হচ্ছে, বিভিন্ন অরাজকতা হচ্ছে, আমরা রাষ্ট্র থেকে কোনো বিচার পাচ্ছি না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৫
এফএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।