বাগেরহাট: সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের দুই এলাকার আগুনে সাড়ে ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপারবিল এলাকার দেড় একর ও ধানসাগর টহল ফাঁড়ির তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকার ৪ দশমিক শূন্য ৫ একর বনভূমি রয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, টেপারবিল ও তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকার বেশিরভাগ গাছ শতাংশ গাছ শুকিয়ে গেছে। বেশকিছু বড় সুন্দরী গাছের পুড়ে যাওয়া গোঁড়ার অস্তিত্ব দেখা যায় তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে। ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের তাপে শুকিয়ে যাওয়া এসব গাছ দ্রুতই মারা যাবে। সুযোগ বুঝে স্থানীয় দুষ্কৃতকারীরা এসব গাছ কেটে নিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবে।
ডিএফও কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ঘটনাস্থলে স্থানে এখন কোনো আগুন নেই। আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ হয়ে গেছে। তারপরও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য জোয়ারের সময় পানি ছিটানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর ফায়ার আউট ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পরপর দুটি এলাকায় আগুন ধরে যাওয়ায় আমাদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আমরা দুটি স্থান ড্রোন ও জিপিএসের মাধ্যমে মনিটরিং করেছি। আপাতত সাড়ে ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জিপিএসের পরিমাপ থেকে জানা গেছে। এছাড়া দুটি ঘটনায় আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সাত কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। তখন ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী বন টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে আগুন লাগে। রাতভর চেষ্টা চালিয়ে রোববার সকালে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস হয়। সুপ্ত আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী খুঁজতে বন বিভাগ ড্রোন ব্যবহার করে। তখন কলমতেজী এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে আগুনের অস্তিত্ব দেখতে পায় বন বিভাগ। সেই আগুনে সুন্দরবন পুড়েছে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস আগুন সম্পূর্ণ রূপে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য বুধবার ও বৃহস্পতিবার ওই এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখবে বন বিভাগ। এ সময়েও পানি ছিটানো হবে বনে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৫
এমজে