ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ০১ মে ২০২৫, ০৩ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রমজীবী হিসেবে দেশের সাংবাদিকরা বঞ্চনার শিকার: কাদের গণি চৌধুরী

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২২, মে ১, ২০২৫
শ্রমজীবী হিসেবে দেশের সাংবাদিকরা বঞ্চনার শিকার: কাদের গণি চৌধুরী আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, শ্রমিকের রক্ত, শ্রম ও ঘামে গড়া আধুনিক সভ্যতা। সভ্যতার বিকাশে শ্রমিকের অবদান সবচেয়ে বেশি।

কিন্তু তারাই পান না শ্রমের মর্যাদা। অবহেলায় কাটে তাদের দিন। প্রাপ্য মর্যাদাও জোটে না কখনো কখনো। শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। অধিকাংশ মিডিয়ার সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা দেন না। অথচ ওয়েজবোর্ডে বেতন দেন এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন নেন। এসব ঠকবাজ মালিকদের বিরুদ্ধে ইউনিয়নকে সক্রিয় হতে হবে।

মহাম মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাকের হোসাইন, খায়রুল বাশার, বাছির জামাল, এরফানুল হক নাহিদ, মোরসালিন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাশেদুল হক, রফিক মোহাম্মদ, বাবুল তালুকদার, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, মোদাব্বের হোসেন, সাঈদ খান, আবু হানিফ, দিদারুল আলম, আবুল কালাম মানিক, আবুল কালাম ও রফিক লিটন।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আজ আমরা যে আরামের অট্টালিকায় দিন কাটাই সেসব শ্রমিকের ঘামে গড়া। প্রতিটি ইটে লেগে আছে ঘাম। শ্রম, শ্রমিক এই দুয়ের ওপরেই আজকের আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের সুউচ্চ অট্টালিকা শ্রমিকদের ঘামের ওপরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে তাজমহলকে নিয়ে আজ বিশ্বের এত মাতামাতি সেই তাজমহল তৈরিতে লেগেছে শ্রমিকদের ঘাম। অথচ আজকের সমাজ যেন কুলি-মজুর এবং সাহেব এই দুই শ্রেণিতে ভাগ হয়ে গেছে। সভ্যতা যতই অগ্রসর হচ্ছে ততই এই বিভাজন শক্ত হচ্ছে। এই পার্থক্য গড়ছে অর্থ। যার অর্থ আছে সে মালিক। আর যার নেই সেই শ্রমিক! অথচ সবাই কাজ করে, ফলে সবাই শ্রম দেয় অর্থাৎ শ্রমিক। তবু মালিকের ভূমিকায় যারা আছেন তারা এই সহজ সত্য উপলব্ধি করতে পারেন না, আর পারলেও তা স্বীকার করতে চান না।

পেশাজীবীদের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে এ বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারের পাশে কোনো মালিক দাঁড়াননি। এমনটি কেন হবে! 

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন,  বিশ্বে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা রোগে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে অর্থনীতি। বছরে বৈশ্বিক জিডিপি হারাতে হচ্ছে ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে এক হাজার ৪৩২ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন ৫০২ জন।

এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।