ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ০৮ মে ২০২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

ইনোভেটিভ আইডিয়া মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২৬, মে ৭, ২০২৫
ইনোভেটিভ আইডিয়া মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঢাকা: ইনোভেশন যত বেশি পরস্পর আদান-প্রদান করা যাবে ইনোভেশন তত বেশি সফল হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ  উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ইনোভেশনের সুফল পেতে হলে ইনোভেশনকে গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

বুধবার (০৭ মে) বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের প্রতি সচেতন করা গেলে দেশ সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য ইনোভেটিভ আইডিয়া মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সকল দপ্তর সংস্থাকে আগামীতে আরও বেশি সংখ্যক ইনোভেটিভ আইডিয়া দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, পান্তা ভাতকে পচন থেকে সহজে রোধ করার জন্য পানি দিয়ে ভাত সংরক্ষণ করার আইডিয়া প্রথম নারীদের মাথা থেকেই আইডিয়া আসে। এ ছাড়াও লেবুপাতার মাধ্যমে পচা মাছকেও যে খাওয়ার উপযোগী করা যায়, সেই আইডিয়াও প্রথম নারীদের মাথা থেকেই আসে। তাই ইনোভেশন কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ষষ্ঠ ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার দক্ষ জনবলকে যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও চিফ ইনোভেশন অফিসার মো. ইমাম উদ্দীন কবীর। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, দপ্তর সংস্থাগুলো নিয়মিতভাবে ইনোভেশন নিয়ে কাজ করলে সরকারি সেবা সহজে জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর। এ সময় দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ ইনভেশন টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এবার ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর সংস্থা মোট ৩০টি ইনভেশন নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১১টি, মৎস্য অধিদপ্তরের ১০টি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩টি, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ২টি, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২টি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের ১টি এবং মেরিন ফিশারি একাডেমির ১টি ইনোভেশন রয়েছে।

জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।