৩৫ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টিকে অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা হিসেবে দেখছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শুক্রবার (১ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে তিনি এ বার্তা দেন।
আসিফ নজরুল ওই পোস্টে লিখেছেন, ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ। অ্যানাদার সাকসেস অব ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
ভারতের তুলনায় কম শুল্ক হওয়ায় এটিকে একটি সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এ সিদ্ধান্ত অনেকাংশেই বাংলাদেশের জন্য খুশির খবর। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বাজার হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় প্রথমে ভারতকে সেই শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আমাদের চেয়ে ভারতের ওপর বেশি শুল্ক নির্ধারণ হয়েছে—২৫ শতাংশ।
এর মানে, মার্কিন ক্রেতারা বাংলাদেশকেই চীনের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ আগস্ট) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জেএইচ