কারাগারে মাদক ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেছেন, অনেকে মাদক নিয়ে কারাগারে প্রবেশের চেষ্টা করে। এমনও বন্দি এসেছে যার পেটে ১২০০ ইয়াবা পেয়েছি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
কারাগারে মাদক বিস্তার রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে আইজি প্রিজন বলেন, আমরা মাদকের বিষয়ে অনেক কঠোর। এমনকি পেটের মধ্যে করে ইয়াবা নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে বেশি ধরা পড়ছে। আর মাদক মামলায় যারা গ্রেপ্তার তাদের কারাগারে আনার পর বিশেষ সেলে রাখা হয়, যাতে করে তারা মাদক ছড়িয়ে দিতে না পারে।
তিনি বলেন, এমনও বন্দি এসেছে যার পেটে ১২০০ ইয়াবা পেয়েছি। আমরা এখনো শতভাগ সফল নই, তবে আমরা উন্নতি করেছি। এমনকি মাদকের সঙ্গে জড়িত কারারক্ষীদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আইজি প্রিজন বলেন, আপনারা জানেন কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধী থাকে। আমরা কঠোর হয়েছি, ফলে আমরা অনেকটা উদ্ধার করেছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তত এক হাজারের বেশি অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশিতে বিপুলসংখ্যক ছোট সাইজের মোবাইল উদ্ধার করেছি। এখন অনেকটা কমেছে, তবে বন্ধ হয়েছে বলা যাবে না।
তিনি বলেন, মোবাইলের বিষয়ে আমরা অনেক কঠোর। এমনকি মোবাইলের আলামত পাওয়ায় ডিভিশন পাওয়া বন্দিদের ডিভিশন বাতিল করা হয়েছে।
আইজি প্রিজন আরও বলেন, আমরা কারাগারকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত এক বছরে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এখনো অল্প অল্প ধরা পড়ছে। পূর্বের অবস্থা থেকে উন্নতি হচ্ছে। কারাগার ও কাশিমপুরের রান্না করা খাবার বাসা থেকে দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কারাগার থেকে বন্দিরা আমাকেও ফোন দেয়: আইজি প্রিজন
এক বছরে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জব্দ ৮০ লাখ টাকা: আইজি প্রিজন
বাংলাদেশ জেলের নাম হবে ‘কারেকশন সার্ভিস বাংলাদেশ’
এসসি/এমইউএম