ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নির্বাচনে না এলে ফখরুল নিজের ও দলের পতন দেখবেন: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
বিএনপি নির্বাচনে না এলে ফখরুল নিজের ও দলের পতন দেখবেন: তথ্যমন্ত্রী কথা বলছেন ড. হাছান মাহমুদ।

ঢাকা: বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজের এবং দলের পতন, দুটিই অবলোকন করবেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বিএনপিকে বলব খেলার মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য।

আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই বিএনপি আগামী নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেছেন আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই বিএনপি আগামী নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু বিএনপির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, তারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছে। তো ফখরুল সাহেবকে বলবো মাঠে আসার জন্য এবং আমাদের সাথে খেলার জন্য। আমরা খেলেই জিততে চাই। আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ আগামীর সরকার নির্বাচিত করবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আজকে যেভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আমল পরিবর্তন ঘটে গেছে, প্রতিটি শহর এবং গ্রামের যে পরিবর্তন ঘটেছে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে...। আগে মানুষ ডাল ও ভাতের কথা বলতো, এখন ডাল ও ভাতের পরিবর্তে মাংসের দাম বাড়লে মানুষ সেটি নিয়ে কথা বলে। এটিই হচ্ছে উত্তরণ।

তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সঙ্গে খেলে আমরা জিততে চাই। বিএনপিকে বলব খেলার মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য।

বিএনপির মতো বড় দলকে ছাড়া আগামী নির্বাচন করলে বিতর্ক এড়ানো যাবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা আয়োজক পক্ষ নই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে যদি তাদের কোনো অভাব-অনুযোগ কিছু থাকে সেটি নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে আমরাও সেখানে যাব। আমি মনে করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, আমরা আশা করব আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, কথা বেশি নয় কথা একটাই-এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে। তাহলে মির্জা ফখরুল নিজের এবং বিএনপির পতন, দুটিই অবলোকন করবেন।

বিএনপি ভোটে না এলে আওয়ামী লীগ কি তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোটে আসতে দেবে- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কেন আমাদের বিদ্রোহীদের ওপেন করে দেব। বিএনপি না এলে তো অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি না আসা সত্ত্বেও সিটি করপোরেশন নির্বাচন তো দেখেছেন। সেখানে অনেক রাজনৈতিক দল, অনেক প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছে। বিএনপি তো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তো ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিএনপি না এলে জনগণ আসবে না তা কিন্তু নয়, এটা অতীতে প্রমাণিত হয়েছে।

বিএনপি ছাড়া নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন বিএনপি জনগণের কত শতাংশকে প্রতিনিধিত্ব করে জানি না। কিন্তু তাদের বারবার আহ্বান সত্ত্বেও জনগণ তো ভোট বর্জন করেনি। আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক, জনগণের অংশ নিলে সেই ভোট নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের বিচারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫,২০২৩
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।