ঢাকা, রবিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২, ১১ মে ২০২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে রাজপথে ছিল: জি এম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫০, মে ১০, ২০২৫
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে রাজপথে ছিল: জি এম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে রাজপথে ছিল। রংপুরে আমাদের দুইজন নেতা শহীদ হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের মামলায় অন্তত চারজন জেল খেটেছেন। মিথ্যা মামলায় শত শত নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়িয়েছে। সংসদে এবং সংসদের বাইরে আমরা এই আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেছি। অথচ, আজ আমাদের অবদান অস্বীকার করা হচ্ছে। বরং ছাত্র হত্যার মামলায় আমাদের অন্যায়ভাবে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তারাই আজ বৈষম্য সৃষ্টি করছে—এমন অভিযোগ এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যারা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করছে বা করতে চায়, তাদের কোনো দলকেই নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা নই। আওয়ামী লীগ সরকার যখন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করে, আমরা তখন তার প্রতিবাদ করেছিলাম।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, যদি গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে, তাহলে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে? কারণ, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যা ঘটেছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়।

নিজেদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, আমরা নাকি নির্বাচনে গিয়ে আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছি। অথচ ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমার নেতৃত্বে প্রায় ২৭০ জন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছিল। আমি তখন মন্ত্রী ছিলাম। আমাকে নানা উপায়ে নির্বাচনে টানার চেষ্টা করা হয়, এমনকি পরে মন্ত্রী করার প্রস্তাবও আসে, আমি রাজি হইনি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশ নেয়নি ঠিকই, তবে ওই বছর স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। তাহলে তারা কি আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দেয়নি?

জি এম কাদের বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমাদের দলকে ভাঙনের মুখে ফেলে, বিশেষ চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবু আমরা মনে করি, সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে কোনো বেআইনি কাজ করিনি। যদি কেউ মনে করে আমরা অপরাধ করেছি, তবে সেই বিচার হোক জনগণের রায়ের মাধ্যমে। কারণ, গণতন্ত্রে জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মারুফ ইসলাম প্রিন্সের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. আরিফ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, ভাইস চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এসএমএকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।