ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ চৈত্র ১৪৩২, ১৫ মে ২০২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারের কাছে বহু দাবি থাকলেও আমরা রাস্তায় নামছি না: জয়নুল আবদিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৯, মে ১৪, ২০২৫
সরকারের কাছে বহু দাবি থাকলেও আমরা রাস্তায় নামছি না: জয়নুল আবদিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামত শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বহু দাবি থাকলেও বিএনপি রাস্তায় নামছে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

বুধবার (১৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামত শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সরকারকে উদ্দেশ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আপনার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করতে যাবো কেন? আপনাকে তো আমরাই সরকারে বসিয়েছি। সরকারের কাছে আমাদেরও অনেক দাবি আছে কিন্তু আমরা রাস্তায় নামি না।

তিনি বলেন, আপনাদের অনুরোধ করবো, মানুষের ভাষা বুঝুন। দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আওয়ামী লীগের যেসব দোসররা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে, তাদের চিহ্নিত করুন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যার বিদেশে কোনো সম্পদ নেই। যিনি স্বামী হারানোর পর গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য রাজপথে সংগ্রাম করেছেন। সেই নেত্রীও আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পাননি। হাসিনার বিদায় হয়েছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, হাজারো আয়নার ঘর আবিষ্কার হলো, কিন্তু আয়নার ঘর কারা বানালো? তারা কি এখনো আপনার সঙ্গে আছে? অবশ্যই আছে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অনেকে বলে, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ চায় না। আরে অনেক আগেই বিএনপি বলেছে, আইনের আওতায় এনে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।

ফারুক বলেন, গত ১৬ বছর যারা আন্দোলন করেছে, জুলাই আন্দোলনে যারা গিয়েছে তাদের দাবি একটাই—সুষ্ঠু নির্বাচন। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন চাই আমরা। এজন্যই ১৬ বছর আন্দোলন করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সেখানে চলে মদ, জুয়া, অসামাজিক কাজ, ছিনতাইকারীদের আড্ডা। এগুলো কারো চোখে পড়ে না? আমাদের এক ছাত্র নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। একটা তদন্ত কমিটি হবে, তারপর আর কিছু হবে না।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. এ বি সিদ্দিক হাওলাদার। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।