ঢাকা: গত ৩ জানুয়ারি গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সেখানে ষষ্ঠ দিন পার করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই ‘অবরুদ্ধ’ জীবনযাপনের মধ্যে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চলেছেন বিএনপির নেতাকর্মী ও এপন্থি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, পেশাজীবীরা।
বৃহস্পতিবারও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলীয় কিছু নেতা এবং বিএনপিন্থি কিছু সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
প্রথমে দুপুর ১২টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী নূরে আরা সাফা ও ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী সুলতানা আহমেদসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি।
অবশ্য, মহিলা দলের পক্ষ থেকে ‘অবরুদ্ধ’ খালেদা জিয়ার জন্য মাছ-মাংস ও শাক-সবজিও আনা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো ফিরিয়ে দিয়ে রান্না করা খাবার আনতে বলা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিএনপির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং গীতিকার ও চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন, চিত্রনায়ক কাজী আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, চিত্রনায়ক হেলাল খান ও নাট্যাভিনেতা বাবুল আহমেদ।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন সংগীতশিল্পী ও মাইলস ব্যান্ডের প্রধান শাফিন আহমেদ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করেন তার উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ।
সবশেষে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত রাত ৮টায় খালেদার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজ) একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিউজে) একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান।
এর মধ্যে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও দ্বিতীয়বারের মতো ফিরে যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্ব থেকে জলকামান না সরানোয় গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যান বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব বি. চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫