আলাদা জোট গঠন হলে নির্বাচনের আগেই মন্ত্রীসভা থেকে জাতীয় পার্টির সদস্যরা পদত্যগ করবে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর পল্লী নিবাস বাস ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
নব গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রেখে এরশাদ বলেন, এই নির্বাচন কমিশন আগের মত হবে না। তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ না করে মন্তব্য করা যাবে না। তবে তার বিশ্বাস এ কমিশনের অধিনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণে বাধ্য। কারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। দল ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই দলকে টিকিয়ে রাখতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, বিশ্বে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ। যে দেশের মানুষ ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে।
এসময় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য সংসদে আইন পাশ করেছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখনো সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হয়নি। তার আমলে পাশ করা আইনের কোনো বাস্তবায়ন নেই।
এমপি লিটনের মৃত্যুর পর শূন্য হওয়া সুন্দরগঞ্জ আসনে আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় পার্টির কো- চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের, জেলা জাপার আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন, মহানগর জাপার আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব ইয়াসির আহমেদ প্রমুখ।
তিনদিনের সফরে রংপুর আসেন জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
আরএ