মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেতাকর্মীরা শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
আটকদের কয়েকজন হলেন-ছাত্র ইউনিয়নের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সম্পাদক সূর্য পলাশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, ভজন বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর, রাহাত, নয়ন, প্রগতি বর্মণ তমা, সাদিকুল ইসলাম, নয়ন দাশ, আলমগীর কবীর প্রমুখ।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। এসময় পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ১১ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী বলেন, আমরা সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। এসময় পুলিশ আমাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, বামদলগুলোর নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এসময় ১১ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক লীগের ব্যানারে হরতালবিরোধী মানববন্ধন চলছিলো। এ সময় হরতালকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে আসলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে ভোর ৬টা থেকে বামদলগুলোর ডাকা আধাবেলা হরতাল চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গণগ্রন্থাগারের সামনে থেকে বামদলগুলোর নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭/আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা
আরএটি/জেডএফ/আরআর/এএ/জেডএস