মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন বাম দল খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে।
হরতাল সমর্থনকারীরা পল্টন মোড়ে ২০ মিনিটের মতো রাস্তা অবরোধ করে রাখে।
পরিবহন চলাচল বিঘ্নিত করতে প্রেসক্লাব-মতিঝিল সড়কের মাঝখানে পাথর-ইট বিছিয়ে দেয় নেতা-কর্মীরা। পুলিশ বেশ কয়েকবার ইট-পাথর সরিয়ে ফেলে। রাস্তার মাঝখানে আগুন জ্বালিয়েও পিকেটিং করতে দেখা যায় নেতা-কর্মীদের। হরতালকারীরা লাল নিশান ও বিভিন্ন পোস্টার নিয়ে পুরানা পল্টন, বিজয়নগর ও দৈনিক বাংলা মোড়ে স্লোগান দিতে থাকে।
হরতাল চলাকালে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতারা বলেন, জনগণের বাস্তব পরিস্থিতি পযর্বেক্ষণ না করে অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে। বাড়িভাড়া, পরিবহন ভাড়াসহ সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে।
এজন্য অবিলম্বে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহবান জানান নেতারা।
গণতান্ত্রিক বামমোর্চার মিছিল ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) অন্যতম কেন্দ্রীয় ফখরুদ্দিন কবীর আতিক এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা হামিদুল হক।
হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এমসি/আরআর/এমজেএফ