মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান একথা বলেন।
শ্রমিক দলের সাবেক নেতা আবুল কাশেম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী দুলাল ও মোহাম্মদ উল্লাহ ভূঁইয়ার স্মরণে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা দেখতে চাই দেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করুক। কারও সমর্থন যদি বেশি হয় তারা নির্বাচনে জিতবে, ক্ষমতায় যাবে। আমরা বিরোধীদলে থাকবো কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ভোটের আগের রাতে বাক্স ভর্তি করে আপনি জিতে যাবেন আর বলবেন আপনার জনপ্রিয়তা বেশি- এটা দেশের কোনো লোক বিশ্বাস করে না।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, সবচেয়ে ক্ষতি করা হচ্ছে ভোটাররা যখন ভোটকেন্দ্রে যায় এবং তাদের বলা হয় আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। আবার ব্যালট পেপার নেই, তারপর আঙুলে কালি দিয়ে বলা হয় আপনি চলে যান। এতে ভোটাররা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে। এর একটি প্রমাণ হলো উপজেলা নির্বাচন। অনেক কেন্দ্র আছে যেখানে কোনো ভোটার যায়নি। এই যে ভোটের প্রতি মানুষের অনীহা সৃষ্টি করা, এটা হলো গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চক্রান্ত।
‘নির্বাচন না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার রায় দেয়। আর জনগণের রায়ে যারা দায়িত্ব নেয়, তারা হলো গণতান্ত্রিক সরকার। কাজেই আমাদের দেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার নেই। ’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাকে মায়ের মর্যাদা দিয়েছেন সেই খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, এটা তার প্রাপ্য। একজন মানুষ হিসেবে একজন নেত্রী হিসেবে তার প্রাপ্য। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটা তার প্রাপ্য। একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি স্ত্রী হিসেবে তার প্রাপ্য।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজনে স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
এমএইচ/এএ