সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
তিনি বলেন, যেসব গুণাবলী শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধুতে পরিণত করেছে সেগুলো তার শৈশবেই পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি স্কুলেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে জেলে গেছেন। পাকিস্তান স্বাধীনের পরপরই ভাষার জন্য জেল খাটেন। কলকাতায় পড়ার সময় দাঙ্গায় হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন।
‘পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনে ১৩ বছরই তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। কিন্তু কখনও আপোষ করেননি। স্বাধীনতার পর একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে, পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাংলাদেশকে পথ দেখাবে। ’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু জাতির পিতা নন, তিনি একটি প্রতীক। দেশের সার্বভৌমত্বের, স্বাধীনতার, অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বন্দি অবস্থায় মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু আপোষ করেননি।
‘তিনি জাতিকে সোনার বাংলা উপহার দিয়ে গেছেন। খোন্দকার মোস্তাক গং বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা সে পথে এগিয়ে যায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জ্বীবিত বাঙালি জাতি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়নি। ’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই জাতির পিতাকে বা বড় বড় অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ছিল ব্যতিক্রম। এখানে শুধু ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করা হয়নি। তার পুরো পরিবারকে হত্যা কার হয়েছে।
‘এর উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলা। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া। কিন্তু হত্যাকারীরা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধু আরও হাজার গুণ শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছেন,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এসকে/এমএ