ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দোয়া করবেন ঝড়ে যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৯
দোয়া করবেন ঝড়ে যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’ যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে জন্য দেশবাসীকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ঝড় ও ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
 
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটা দুঃসংবাদ আছে, আমাদের বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় দেখা দিয়েছে।

… দোয়া করবেন ঝড়ে যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

ঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝড় মোকাবিলা এবং মানুষকে রক্ষা করার জন্য সবরকম প্রস্তুতি আমাদের নেওয়া আছে। এমনকি ঝড় পরবর্তী ত্রাণ কার্যক্রম যাতে চালানো যায় সে ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।

দুযোর্গ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবিলায় আমরা ইতোমধ্যে যথেষ্ট পারদর্শীতা অর্জন করেছি।  
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মানুষের জানমাল বাঁচাবার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা একটা ট্রাস্ট ফান্ড করে এ প্রাকৃতিক দুযোর্গ এবং গোবাল ওয়ার্মিং থেকে বাংলাদেশ যাতে রক্ষা পায় সেই কর্মসূচিও আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমি মনে করি পৃথিবীতে বোধহয় বাংলাদেশই একমাত্র দেশ প্রথম এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
 
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 
এর আগে সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
সম্মেলন উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তেলন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রমিক লীগের দলীয় পতাকা উত্তেলন করেন সংগঠনটির সভাপতি শুকুর মাহমুদ।
 
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
 
ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। পরে শিল্পী ফকির আলমগীরের নেতৃত্বে একই শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পিরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
 
এরপরই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়। এরপর শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়।
 
শ্রমিক লীগের প্রয়াত সব নেতা-কর্মীসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, সব আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
 
বিকেল ৩টার দিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে।
 
সম্মেলনে সারাদেশের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার প্রায় ৮ হাজার কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটরা সম্মেলনে যোগ দেন।
 
কয়েকটি দেশ থেকে আমন্ত্রিত অতিথি এবং শ্রমিক নেতারা ও সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
 
১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর দেশের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
 
সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি শুকুর মাহমুদ এবং সিরাজুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এমইউএম​/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।