ঢাকা: রাজনীতিতে সমালোচনা হবে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বা সরকারের সমালোচনা হতে পারে।
রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য কৌতুক লাগে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলের কথায় দু’টি বিষয় থাকে। এর একটি হচ্ছে প্রচুর মিথ্যায় ভরপুর। তিনি অবলীলায় অত্যন্ত সাবলীলভাবে মিথ্যা কথা বলেন। সেজন্য তাকে অনেকে ভিন্ন নামও ডাকেন, আমি সেটি বলতে চাই না। তার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, মিথ্যা বলায় যদি কোনো পুরস্কার দেয়া যেত তাহলে সেটা মির্জা ফখরুল সাহেব পেতেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে এ কথা বলে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন। আশা করি ব্যক্তিগত সমালোচনা করবেন না।
সুবর্ণজয়ন্তীর মাসে এসে দেখা যাচ্ছে বিএনপির বেশ কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে, সেক্ষেত্রে আপনাদের দলের কোনো পাল্টা কর্মসূচি থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাস করি না। জনগণ আওয়ামী লীগকে রায় দিয়েছে দেশ পরিচালনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গত ১২ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছেন। সে কারণেই আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন সব কিছুতেই স্বয়ংসম্পূর্ণ। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশে কোনো গৃহহীন মানুষ থাকবে না। সে লক্ষ্যে তিনি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। যারা জনগণের জন্য কাজ না করে দেশে গুজব রটাচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, করোনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, তারা ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়েছে। তারা সেই কাজগুলোই করছে। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। তাদের মতো অপকর্ম, তারা যে অপরাজনীতি করছে, তারা করোনাকালে জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি বরং অপরাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। সরকারি দলের যেমন জনগণের জন্য দায়বদ্ধতা থাকে বিরোধী দলেরও তেমন দায়বদ্ধতা রয়েছে, দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ব পালন না করে তারা জনগণকে গত এক বছর ধরে বিভ্রান্ত করেছে, গুজব রটিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
জিসিজি/আরবি