ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আইনমন্ত্রী আইনের অপব্যাখ্যা দিয়েছেন: তৈমুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
আইনমন্ত্রী আইনের অপব্যাখ্যা দিয়েছেন: তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ: ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনের অপব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরের মজলুম মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণ-অনশন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আইনমন্ত্রী ফৌজদারি আইনের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তার চেয়ে বড় ব্যাখ্যা হলো বাংলাদেশের সংবিধান। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদালত হলো আপল বিভাগ। হাইকোর্টের উপরে আপিল বিভাগ। সেই আপিল বিভাগ যদি কোনো রায় দেন, সেই রায়ও সংবিধানের ১৪৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তা পুনর্বিবেচনা করা যায়। সেটা সংবিধানেই বলা আছে। আর ফৌজদারি ৪০১ ধারা পুনর্বিবেচনা করতে পারবে না? সরকার এত নিঃস্ব হয়ে পড়েছে, এটা আইন বলে না। সরকার মানসিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সরকার তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। এজন্য এই মন্ত্রীরা ভারসাম্যহীন কথাবার্তা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কোনো অনুষ্ঠানই শহীদ মিনারে করা যায় না। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে, আমরা এমন একটা শাসন ব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করছি যেখানে একজন মুমূর্ষু রোগী যিনি বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যিনি বাংলাদেশের ৩৫টা আসন থেকে নির্বাচন করে কোনোদিন অকৃতকার্য হননি। খালেদা জিয়া সবসময় পাঁচটা আসনে নির্বাচন করতেন, পরে আইন হওয়ার পর তিনটায় নির্বাচন করতেন। তিনি কখনও নির্বাচনে হারেননি।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে, আইন তাকে আটকে রাখেনি। শেখ হাসিনা তাকে আটকে রেখেছেন। আমি বলতে চাই, আপনি অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়েন। সেখানে দেখেন বিরোধীদলের ওপর আপনার পিতা কী আচরণ করেছেন। আর সে অনুযায়ী আপনার আচরণ কী!

তিনি আরও বলেন, আমি পত্রিকায় দেখেছি একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন—নারায়ণগঞ্জে দশ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর জন্য তিনি একাই যথেষ্ট। দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না, দেশে যখন সংবিধান অকার্যকর হয়ে যায়, যখন সংবিধান পুলিশের বুটের নিচে পিষ্ট হতে থাকে, তখন পুলিশের পক্ষে এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা সম্ভব। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, এ দেশের মলিক জনগণ। ২১ অনুচ্ছেদে বলা আছে, যারা রাষ্ট্রের বেতন খায় তাদের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা। আজকে পুলিশ যে ভূমিকা নেয়, যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে, সেই আচরণের জবাব গণতান্ত্রিকভাবে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এমজেএফ/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।