ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে: দুদু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে: দুদু

ঢাকা: শিক্ষা ক্ষেত্রে বর্তমানে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি, ছাত্রদের প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাগজ নেই। যে কারণে তারা ব্ল্যাকবোর্ডে প্রশ্ন লিখে দিচ্ছে, শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে উত্তর লিখে আনার জন্য বলছে। এ এক ভয়াবহ চিত্র। সেই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতি বছর প্রাইমারির শিক্ষার্থীদের ফ্রি অব কস্ট যে বই পত্র দেওয়া হতো, খাতা-কলম দেওয়া হতো, এবার কাগজের অভাবে তা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। চাল, তেল চিনিসহ এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই যার দাম তিনশ থেকে চারশ গুণের বেশি বাড়েনি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছিল জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া। শিল্প, কৃষি, শিক্ষাসহ দেশের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া উন্নয়নের স্পর্শ দেননি। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এতটাই বিপর্যস্ত যে, কোনো ব্যাংক সাধারণ এলসি খোলার উদ্যোগ নিচ্ছে না। সরকারিভাবে প্রেসনোট জারি এ এলসি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, বাজরে কয়দিন ধরে চিনি উধাও। সরকার আশ্রিত সিন্ডিকেট যেমন আছে, তেমনি সরকার নিজেও দাম বাড়াচ্ছে। মানুষের জান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তথাকথিত মিথ্যা মামলায় সাজানো বিচারে আজ প্রায় চার বছর ধরে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপির সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করছে। এরই মধ্যে ছয়টি সমাবেশ করেছে। আজ সিলেটে সমাবেশ করছে। আপনারা পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন এসব সমাবেশে তীব্র বিরোধিতা, বাধা, আক্রমণ, তথাকথিত চেকপোস্টের নামে জনগণকে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সড়ক পথে বাস, পানি পথে লঞ্চ, ট্রলারসহ সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক দিনের সমাবেশ কোনো কোনো ক্ষেত্রে চার দিনের সমাবেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, সরকার যদি এসব থেকে সরে না আসে তাহলে ভবিষ্যতে এর পরিণতি ভালো হবে না।

তিনি আরো বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ। এ সমাবেশ হবে জনসমুদ্রের মতো উত্তাল তরঙ্গের একটি সমাবেশ। আমরা মনে করি, জনগণকে এ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। এ ছাড়া এ স্বৈরাতন্ত্রের হাত থেকে বাঁচার কোনো পথ আছে এটা আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসীবাদী, গণবিরোধী সরকারকে আমরা ধ্বংস করতে পারি, পদত্যাগে বাধ্য করতে পারি, অপসারণ করতে পারি।

জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দলের সভাপতি সৈয়দ এম এইচ মনিরের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন জিনাফ এর সভাপ‌তি মিয়া মো. আ‌নোয়ার, সাবেক শাহবাগ থানা কৃষক দলের সহ-সভাপতি শাহজাহান মিয়া সম্রাট, কল্যাণ পার্টির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান তামান্না ও স‌রোয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এনইউ/ জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।