ঢাকা, রবিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩২, ০৪ মে ২০২৫, ০৬ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

যুবদলকর্মী শাকিলের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার-ফাঁসির দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৭, মে ৩, ২০২৫
যুবদলকর্মী শাকিলের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার-ফাঁসির দাবি

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাবর গ্রামে যুবদলকর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে (২৬) গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ছয়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি নূর নবী চৌধুরী, বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, চনখোলা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াকুব হোসেন, নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক নুরুল হুদা সোহাগ ও নিহত শাকিলের বাবা খোকন মিয়া।

বক্তারা অবিলম্বে যুবদলকর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিল হত্যায় জড়িতদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানান। সমাবেশ থেকে পাড়ায় মহল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাদন বন্ধে প্রশাসনের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, পেশায় টাইলস মিস্ত্রি শাকিল ৮ মাসের এক কন্যা সন্তানের জনক। কয়েকদিনের মধ্যে কাজের সন্ধানে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল তার।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান জানান, গত ২৮ এপ্রিল সোমবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজার থেকে ৮-৯ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লাবিব নামে এক কিশোরকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় যুবদলকর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিলসহ কয়েকজন তাদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় অস্ত্রের আঘাতে শাকিলের ছোট ভাই ছাত্রদলকর্মী মোজাম্মেল হোসেন শুভর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন তিন যুবককে ধরে গণপিটুনির পর পুলিশে দেয়।

ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব, পুলিশের যৌথ টিম গঙ্গাবর বাজারের পাশের ঝোঁপ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত সেমি অটোমেটিক একটি পিস্তল এবং পিস্তলের সঙ্গে থাকা একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে। এর আগে ঘটনার দিন রাতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড তাজা গুলি ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে।

হত্যার ঘটনায় নিহত শাকিলের বাবা মো. সোলাইমান খোকন বাদী হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

পরে ঘটনাস্থল থেকে আটক মোরশেদ আলম (২৫), মনির হোসেন (২২) ও মো. জীবন (২৪) নামে তিন যুবককে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের মধ্যে জীবন ও মনিরকে আদালতে হাজির করার পর বিচারকের নির্দেশে তাদের দুজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

অপর আসামি মোরশেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের তিনজনের বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার ধীতপুর গ্রামে।

জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।