টানা চারদিনের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের পর আজ শনিবার (১২ জুলাই) নোয়াখালীতে রোদের দেখা মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তেমন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
তবে জেলার নিম্নাঞ্চল ও গ্রামের বেশিরভাগ এলাকায় এখনও বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। পানি ধীরগতিতে নামায় জনদুর্ভোগ তীব্র আকার ধারণ করেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭০টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫০৩ জন মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫টি বসতঘর। সুবর্ণচরে একটি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে। টানা বৃষ্টির বিরতিতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, পাঁচটি উপজেলায় ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজার ৮৫০ জন মানুষ এবং ১৭১টি গবাদি পশু। দুর্গতদের চিকিৎসায় ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯টি কাজ শুরু করেছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, নোয়াখালী জেলার ৭ হাজার ৮০৬ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল যেমন আউশ, আমন, শাকসবজি, মরিচ ও তরমুজ পানিতে ডুবে গেছে। এতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে পরবর্তীতে জানানো হবে।
আরএ