পাবনা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, বিএনপিতে চাঁদাবাজ, খুনি ও ডাকাতের কোনো ঠাঁই নেই। কতিপয় দু-একটি দল নানা কুৎসা রটিয়ে বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র করছে তারা (কতিপয় দল )।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে পাবনার চাটমোহর বালুচর মাঠে পাবনা-৩ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আযম খান এ কথা বলেন।
এ সভায় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও পাবনা-৩ আসনের বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন প্রধান আলোচ্য ব্যক্তি ছিলেন।
সভায় আযম খান বলেন, আসলে মাঠ তো এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে ভরা। আপনারা যখন ক্ষমতায় যাবেন তখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে নাকি! ওসব না বলে নির্বাচনে আসুন। আপনারা বিএনপিকে বিতর্কিত করছেন। বিএনপির নামে যদি কেউ চাঁদাবাজি করে তাহলে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। ওই সব দলকে বলব—আপনারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবেন না।
তিনি হাসান জাফির তুহিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পাবনা-৩ আসনে আমার কাছে মধুর একটি উপহার দিয়ে পাঠিয়েছেন। যেটা আমি আজ আপনাদের উপহার দিতে এসেছি। বিস্ময় সেই বালকের নাম হাসান জাফির তুহিন। অসংখ্য ছাত্রদের নেতৃত্ব দিয়েছেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায়। একদিন বাংলাদেশকে জয়ী করবে তুহিন। তাকে সেবক হিসেবে আপনাদের কাছে রেখে দিয়ে গেলাম। আগামীতে বিপুল ভোটে তাকে ধানের শীষের এমপি নির্বাচন করবেন।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে হাসান জাফির তুহিনের হাতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় প্রতীক ধানের শীষ তুলে দেন আহমেদ আযম খান।
কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেন, দলের নির্দেশনা পেয়ে ধানের শীষ নিয়ে এখানে এসেছি। যারা মান-অভিমান করে আছেন, তাদের হাতজোড় করে বলব—আসুন আমরা সবাই এক পতাকার তলে এসে ধানের শীষকে জয়ী করি। এখানে আমার কোনো কাছের আত্মীয় নেই, নেই কোনো ভাইবোন। আপনারা কি ভাইবোন হতে রাজি আছেন? আগামী নির্বাচনে আপন ভাইয়ের মতো পাশে থাকবেন। আগামীতে আমিও আপন ভাইয়ের মতো আপনাদের পাশে থাকব। আমাদের নেতাকর্মী যারা বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি, ব্যবসা করতে পারেননি, অসহ্য নির্যাতন সহ্য করে গেছেন—আমি যদি ধানের শীষে জয়ী হতে পারি, তাহলে বুক ফুলিয়ে এ অঞ্চলে রাজনীতি করব।
এর আগে দুপুর থেকে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে মিছিল নিয়ে বালুচর মাঠে সমবেত হন নেতাকর্মীরা। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে সজ্জিত ধানের শীষের স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো চাটমোহর পৌর এলাকা। মতবিনিময় সভাটি পরে জনসভায় রূপ নেয়।
চাটমোহর পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আরশেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব।
সভায় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দিপু হায়দার, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন, পাবনা পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আহমেদ মোস্তফা নোমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) আহ্বায়ক খালেদ হোসেন পরাগ, কৃষক দলের পাবনা জেলা সভাপতি আবুল হাশেমসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ পাবনা-৩ আসনের সর্বস্তরের বিএনপি নেতাকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এসআরএস