ঢাকা, বুধবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৬ জুলাই ২০২৫, ২০ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

জুলাই শহীদ দিবসে আবু সাঈদের বাড়িতে মানুষের ঢল, কবরে শ্রদ্ধা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৪২, জুলাই ১৬, ২০২৫
জুলাই শহীদ দিবসে আবু সাঈদের বাড়িতে মানুষের ঢল, কবরে শ্রদ্ধা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা

রংপুর: আজ ১৬ জুলাই, জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৪ এর ঠিক এ দিনটিতে সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে শহীদ হন আবু সাঈদ।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের স্মরণে এ দিনটিকে জুলাই শহীদ দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রংপুরে পালিত হচ্ছে জুলাই শহীদ দিবস।  

বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টায় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বামনপুর গ্রামের জাফর পাড়ার বাড়িতে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কার্যক্রম।

এতে রংপুর জেলা প্রশাসন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ দিনকে ঘিরে মানুষের ঢল নামে পীরগঞ্জের বামনপুর গ্রামে।  

শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকাত আলী, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, মহানগরের আমির এটিএম আজম খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এরপরই শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সেখানে আসেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ কেন্দ্রীয় ও রংপুর জেলা ছাত্রদলের নেতারা।

তারা বলেন, সাঈদের আত্মদানের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কোনোদিন ভুলে যাবে না। তার স্মৃতি নিয়ে কাজ করছে তারা। একই সঙ্গে আবু সাঈদ হত্যার বিচার দ্রুত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।  

এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আবু সাঈদের বাবা-মা। ছেলে হত্যার বিচার চান তারা।

এছাড়া সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক র‍্যালি করা হয়।

উদ্বোধন করা হবে আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর এবং তার নিহত স্থানে ‘আবু সাঈদ চত্বর’ ঘোষণার মাধ্যমে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিকেল ৩টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে দিনব্যাপী নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও বিশেষ কর্মসূচি পালন করছে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।