গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পর যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে গতকালের সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।
এদিকে গতকালের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিনভর থেমে থেকে সংঘর্ষের পর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কারফিউয়ের কারণে গ্রেপ্তার আতঙ্কে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পৌরসভার কর্মীরা সড়কে পড়ে থাকা ইটপাটকেল ও রাস্তায় পড়ে থাকা তোরণের বাঁশ ও পোড়া ময়লা আবর্জনা অপসারণ করছে।
এছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সেনা সদস্যরাও মাঝে মাঝে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে গোপালগঞ্জে আসা অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চলে যেতে দেখা গেছে।
গতকাল শহর জুড়ের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪জন নিহত ও অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাদের অধিকাংশ গ্রেপ্তার আতঙ্কে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য চলে গেছেন। বর্তমানে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।
অন্যদিকে গতকাল জেলা প্রশাসন থেকে ঘোষণা করা কারফিউ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থাকবে।
এদিকে গতকালের ঘটনায় নিহতদের দাফন কাফন ও সৎকার পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন, গত বুধবার সংঘর্ষের সময় ও পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ১৪জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এদের আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া গতকালকের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ও তিনি জানান।
** গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি থমথমে, ‘বিশেষ অভিযান’ চলছে
আরএ