কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলাকে জেলা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বাজিতপুরবাসী।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বাজিতপুর উপজেলা অনেক আগেই জেলা হওয়া যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
বক্তারা আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, খাসভূমি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য বিবেচনায় বাজিতপুরই জেলা হওয়ার যোগ্যতা রাখে বলে আমরা বিশ্বাস করি। মোগল আমলের ঐতিহ্য-প্রাচীন মসলিন কাপড় একসময় বাজিতপুরেই তৈরি হতো। এখানে রয়েছে একটি নার্সিং কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পোল্ট্রি শিল্পের জন্য বাজিতপুর বিখ্যাত, এখানে রয়েছে অসংখ্য জলাশয় ও কৃষি জমি নদ নদী ও খাল।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাজিতপুর হলো ভাটি অঞ্চলের প্রবেশদ্বার এবং একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন জনপদ। ভৌগোলিক দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় নৌপথ, রেলপথ ও সড়ক পথ সবকিছুই বাজিতপুরে আছে।
এতে বলা হয়, ১৮৬৯ সালে ব্রিটিশ সরকার বাজিতপুর পৌরসভা উদ্বোধন করেছিল। এই পৌরসভাটি ময়মনসিংহ পৌরসভারও একদিন আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাজিতপুরকে কৃষি জেলা করার লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার ১৯১২ সালে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। কিন্তু ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে তা থেমে গিয়েছিল।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ১৮৩৪ সালে ব্রিটিশ সরকার বাজিতপুর দেওয়ানী আদালত প্রতিষ্ঠা করে। তার ঠিক এক বছর পর ১৮৩৫ সালে বাজিতপুর থানা গঠিত হয়। এখানে রয়েছে একটি হেলিপ্যাড এবং এক জেলখানা। বেসরকারি ভাবে প্রথম মেডিকেল কলেজ বাজিতপুরেই প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ড. রাজ বিহারি ঘোষ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক জিএস বদরুল আলম শিপু, সাবেক ছাত্রনেতা জহির উদ্দিন প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন বাজিতপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম মাহমুদ, সভাপতিত্ব করেন বাজিতপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন বাদল।
এনডি/এমইউএম