বরিশাল: বরিশালের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২০ আগস্ট) এ কথা জানান স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনি।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রনি জানান, ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় নগর ভবনের সামনে থেকে শিক্ষার্থী সুহান, তানভির, রুহান, নাফিসসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তাদের এমনভাবে মারা হয়েছে যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আবার মেয়েদের, নারী পুলিশ ছাড়া, চুল ধরে টেনে গাড়িতে তোলা হয়েছে- যার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে।
ছাড়া পাওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, নগর ভবনের সামনে থেকে তাদের আটকের পর কোতোয়ালি মডেল থানায় না নিয়ে বরিশালের রুপাতলী এলাকার পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের মারধর করে পুলিশ। পরে সেখান থেকে সুহানকে পুলিশের একটি গাড়িতে এবং আহত ৬ জনকে অন্য একটি যানবাহনে উঠিয়ে দিয়ে ডিসি অফিস যেতে বলা হয়। তবে কিছুক্ষণ পরই পুলিশের গাড়ি থেকে সুহানকে নামিয়ে রেখে দ্রুত অন্যত্র চলে যায় পুলিশ।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ–কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন বলেন, পুলিশ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সুহানকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে শিক্ষার্থীরা রাতে থানায় এসে তাদের দাবিদাওয়ার কথা জানিয়েছে। বিষয়টি আমরা শুনেছি এবং পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করছে তা সঠিক নয়। ঘটনাস্থল থেকে শুধু সুহান নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও গাড়িতে উঠে পড়ে। পরে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সুহানের অতীত রেকর্ড খারাপ রয়েছে। সম্প্রতি তার একটি ধারালো অস্ত্রসহ ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা তাকে ‘ডেভিল’ হিসেবে গ্রেফতার করেছি। তবে এই ঘটনায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তদন্তে যদি হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এমএস/এসআইএস