আগামী মে মাসে নারীদের হকি চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করতে যাচ্ছে ফেডারেশন। এ বিষয়ে বাহফের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক জানান, 'নারীরা উপেক্ষিত।
এই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে সেরাদের নিয়েই শুরু হবে ক্যাম্পেইন। সেখান থেকে গঠন করা হবে জাতীয় নারী হকি দল।
পুরুষ হকির বিভিন্ন আসর মোটামুটি নিয়মিতই হয় বাংলাদেশে। তবে সে তুলনায় মহিলা হকির আসর অনুষ্ঠিত হয় না বললেই চলে। যাকে বলে বিন্দুতে সিন্ধু। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, দীর্ঘ ৩০ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো মহিলা হকি মাঠে গড়িয়েছিল ১৯৭৭ সালে। গঠিত হয়েছিল ওম্যান্স উইং হকি দল। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েদের প্রথম কোনো হকি দল। সে দলে ছিলেন লাভলী, পুতুল, খুকী, হামিদা, মিউরেল, নাসিমা, কস্তরী, শাকিলা, ডলি ক্রুজসহ আরও অনেকে।
তাদের সময়ে অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ঢাকায় মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ঘাসের মাঠে গড়িয়েছিল হকি প্রতিযোগিতা। চলেছিল ১৯৮২ পর্যন্ত। সেই শেষ। তারপর কালের গর্ভে হারিয়ে যায় ৩০টি বছর। মহিলা হকিও হারিয়ে যায় দৃশ্যপটের অন্তরালে। না, একেবারেই হারায়নি। ২০১২ সালের মে মাসে আবারও মাঠে গড়ায় জাতীয় মহিলা হকির তৃতীয় আসর। অংশ নিয়েছিল ৯টি দল। এরপর আরও ২/১টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারপর আর কোনো খবর নেই।
জাতীয় নারী হকি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে আগামী মাসে। ১৬ জেলা অংশ নেবে এই টুর্নামেন্টে। দলগুলোকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি খেলার সরঞ্জাম দেবে টুর্নামেন্ট কমিটি। এদিকে টুর্নামেন্ট কমিটি ৪৯ সদস্য থেকে কমিয়ে ১৫ সদস্য করা হয়েছে। মহিলা হকি নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, আজ পর্যন্ত আমাদের জাতীয় মহিলা হকি দল গঠন করা হয়নি। ব্যাপারটা অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য।
মাঝে মধ্যে ফেডারেশন নামমাত্র কয়েকটা জেলা নিয়ে শুধু টুর্নামেন্ট করেই দেশের মহিলা হকি নিয়ে তাদের সব দায়িত্ব পালন করে! বাহফে র্যাঙ্কিংয়ে এগুতে চায়। মহিলা হকি নিয়ে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (এফআইএইচ) অনেক লোভনীয় প্রস্তাব আছে। একটি দেশের পুরুষ জাতীয় দলের পাশাপাশি যদি মহিলা হকি দল থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক হকি র্যাঙ্কিংয়ে রেটিংয়ে অতিরিক্ত কিছু বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যায়। এছাড়া মহিলা হকি দল গঠন করতে পারলে এফআইএইচ থেকে বাহফে অনেক বিশেষ অনুদানও পেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ১৫ এপ্রিল ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি