জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টিতে নতুন একটা দল পাঠানোর কথা বলেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
তার জায়গায় দলে নেওয়া হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে, যদিও তিনি ওই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেননি। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে খেলতে নেমে বল হাতে ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে ১টি উইকেট পান রিয়াদ। তবে ব্যাট হাতে খেলেন ২৭ বলে ২৭ রানের ধীরগতির ইনিংস।
দলও ওই ম্যাচ হেরে সিরিজ জিততে পারেনি। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বিশ্রাম দিয়েও কেন হঠাৎ একাদশে নেওয়া হলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে? বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) বোর্ড সভাশেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দিয়েছেন এ প্রশ্নের উত্তর।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘রিয়াদকে নেওয়াটা শেষ মিনিটের সিদ্ধান্ত। আমি যতটুকু জানি... আমি তো জানিই না। আমি জেনেছি একদম শেষ মুহূর্তে। যখন নাকি অলরেডি ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে রিয়াদকে স্কোয়াডে নেওয়ার। ’
‘তবে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, যেটা শুনতে পেরেছি—ওরা পাঁচ-ছয়ের জন্য খেলোয়াড় খুঁজছিল। ওই জায়গায় আমাদের কোনো ব্যাকআপ খেলোয়াড় ছিল না স্কোয়াডে, একজনও না। তো সোহানের বিকল্প কে খেলবে, ওদের কাছে ছিল না। কারণ ওদের কাছে ওপেনার আছে, কিন্তু ওই পজিশনে খেলার মতো কাউকে পাচ্ছিল না। কাজেই রিয়াদকে নিয়েছে। ’
রিয়াদকে নেওয়া, তাকে বাদ না-দেওয়ার ইঙ্গিত, বলছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘তবে আমি এটাতে একটা ভালো দিকও দেখি। অনেকের মধ্যে একটা চিন্তা-ভাবনা ছিল টি-টোয়েন্টি থেকে রিয়াদ বাদই পড়ল কিনা। এই বিরতিটা যখন দেওয়া হলো, অনেক জায়গায় শুনেছি এই ধরনের কথা। এখনও যে বাদ পড়ে নাই, এটাও তো (দলে নেওয়া) একটা ইঙ্গিত। ’
যদিও পরে ঠিকই বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন বিসিবি সভাপতি। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ স্কোয়াডে ছিলেন, কিন্তু তাকে কেন নেওয়া হয়নি জানেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে পাপন বলেছেন, ‘আমিও পরে চিন্তা করে দেখলাম, আমাদের এখানে আর কোনো প্লেয়ার নাই! মুনিমকে নামাতে পারতো। আর কী অপশন ছিল? মিরাজ ছিল। কিন্তু ওকে কেনো নেয়নি। আমি বলতে পারব না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
এমএইচবি/এমজেএফ