ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

জাতীয় শোক দিবস পালন করলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
জাতীয় শোক দিবস পালন করলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

যথাযথ মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ পালন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আজ (সোমবার) সকালে দিবসের শুরুতেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

 

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সূর্যদোয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির শুরু করা হয়।  

সবশেষে যুব ভবনের সম্মেলন কক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আজহারুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন এবং মূখ্য আলোচক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের  প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল. এমপি বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের জন্য তাঁর জীবনের অর্ধেক সময় কারাভোগ করেছেন। তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতি তথা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা।

প্রতি মন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার–খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানুষের অভাব- অনটন, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূরীকরণ এবং উন্নত জীবনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বদ্ধপরিকর ও অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব। তিনি একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রত্যেকটি সেক্টরের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ফুল বাগানে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। জীবনের পুরোটা সময় এদশের মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যয় করা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ‘সোনার বাংলা’ গড়তে।  

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু নেই। কিন্তু তাঁর আদর্শ ও স্বপ্ন বেঁচে আছে। বাংলাদেশ থেমে নেই, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তাঁরই দেখানো পথে উন্নয়নের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে দেশকে ২০৪১সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি তরুণ ও যুব সমাজের প্রতি আহবান জানান।

বাংলাদেশ সময় : ২১৩৮, আগস্ট ১৫, ২০২২
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।