এশিয়া কাপ ২০২৫ সুপার ফোরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে ক্রিকেটের চেয়ে বেশি আলোচনা জমল খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ে। ম্যাচে উত্তেজনা, ঝগড়া আর বিতর্কের পাশাপাশি মাঠের ভেতর-বাইরে তোলপাড় শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ১৭১ রান। ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান করেন সঠিক ছন্দে সাজানো একটি হাফ-সেঞ্চুরি। কিন্তু রান নয়, তার উদযাপনই বিতর্কের জন্ম দেয়। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর তিনি ব্যাটকে বন্দুকের মতো তাক করেন, যা অনেকেই ‘মেশিনগান সেলিব্রেশন’ হিসেবে দেখেছেন। ক্যামেরায় ধরা সেই দৃশ্য মুহূর্তেই ভাইরাল হয় এবং তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
ভারতের ইনিংস শুরুর পরপরই উত্তেজনা বাড়ে। অভিষেক শর্মা শাহীন আফ্রিদির প্রথম ওভারেই ছক্কা হাঁকিয়ে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান। এরপর শুবমান গিল চার হাঁকালে হারিস রউফের সঙ্গে তর্কে জড়ান। আম্পায়ারকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। ম্যাচ শেষে অভিষেক অভিযোগ করেন, ‘তারা (পাকিস্তানি বোলাররা) অহেতুক আমাদের উসকাচ্ছিল। তাই আমিও পাল্টা জবাব দিয়েছি। ’
তবে আসল বিতর্ক ছড়ায় রউফকে ঘিরে। ভারতীয় সমর্থকদের সামনে তিনি হাতের ইশারায় ‘৬–০’ দেখান এবং বিমানের মতো ভেঙে পড়ার ভঙ্গি করেন। অনেকে এটিকে পাকিস্তানের দাবি করা ‘ছয় ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত’-এর ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। বিষয়টি দর্শক ও অনলাইনে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
এসব উসকানির মধ্যেও ভারত শান্ত থাকে। অভিষেকের ঝোড়ো ৭৪ রানের ইনিংস এবং গিলের ৪৭ রানে ভর করে ভারত পায় ১০৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। পরে তিলক ভার্মা (৩০*) ও হার্দিক পান্ডিয়া (৭*) দলকে জয় এনে দেন ১৮.৫ ওভারে।
ম্যাচ শেষে গিলের চার শব্দের পোস্ট ‘কথা নয়, খেলাই প্রমাণ’—সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তার বার্তাই হয়ে ওঠে উসকানির জবাব। তবে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ে এখনো রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে ভক্তদের মধ্যে বিতর্ক চলছে, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আদৌ ভারতকে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়া উচিত ছিল কি না।
এমএইচএম