ক্রিকেটে আবেগই মূল শক্তি। তবে অনেক সময় সেই আবেগ ‘স্পিরিট অব দ্য গেম’ ভেঙে বিতর্ক তৈরি করে।
এশিয়া কাপ ২০২৫–এ সাহিবজাদা ফারহানের বন্দুক-ভঙ্গি সেই বিতর্ককে আবারও সামনে এনেছে।
সাহিবজাদা ফারহান (এশিয়া কাপ, ২০২৫)
ভারতের বিপক্ষে ছক্কা হাঁকানোর পর ব্যাটকে মেশিনগানের মতো বানিয়ে গুলি চালানোর ভঙ্গি করেন ফারহান। উত্তেজনাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাঝে এ ভঙ্গি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এখনও আইসিসি শাস্তি ঘোষণা না করলেও পূর্বের নজিরে এ ধরনের আচরণের জন্য জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
বিরাট কোহলি (সিডনি, ২০১২)
অশোভন স্লেজিংয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে গ্যালারির দিকে মধ্যমা তোলেন কোহলি। এজন্য ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা হয় তার। এ ঘটনাই তার ‘ফায়ারব্র্যান্ড’ ইমেজের সূচনা করে।
কাগিসো রাবাদা (পোর্ট এলিজাবেথ, ২০১৮)
স্টিভ স্মিথকে আউট করার পর কাঁধে ধাক্কা দিয়ে উত্তেজিত উদযাপন করেন রাবাদা। প্রথমে ২ টেস্ট নিষিদ্ধ হলেও আপিলে শাস্তি কমে যায়। ঘটনাটি আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সীমা নিয়ে বিতর্ক তোলে।
সাকিব আল হাসান (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, ২০২১)
অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে স্টাম্পে লাথি দেন, আরেকটি উপড়ে ফেলে মাটিতে ছুড়ে মারেন সাকিব। এজন্য ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ ও জরিমানার শাস্তি পান। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা হয়েও এ ঘটনার জন্য বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হন।
ডেভিড ওয়ার্নার (২০১৫ থেকে)
রোহিত শর্মাকে গালাগালিসহ একাধিক বাজে ইঙ্গিতের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন ওয়ার্নার। জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্ট পান বারবার। তার খ্যাতি মজবুত হয় ‘আগ্রাসী অজি’ ইমেজে।
বেন স্টোকস (লিডস, ২০১৭)
আউট হওয়ার পর দর্শকদের দিকে আপত্তিকর ভঙ্গি দেখান স্টোকস। এজন্য ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা ও সতর্কবার্তা পান। এতে তার চারপাশের বিতর্ক আরও বেড়ে যায়।
আইসিসির শৃঙ্খলাবিধি
• লেভেল–১: জরিমানা (সর্বোচ্চ ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ) ও ডিমেরিট পয়েন্ট।
• লেভেল–২: জরিমানা (সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ), ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা।
• লেভেল–৩ ও ৪: গুরুতর অপরাধ, দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা।
কোহলি থেকে সাকিব, রাবাদা থেকে স্টোকস—তারকারা আবেগে ভেসে বহুবার সীমা অতিক্রম করেছেন। সাহিবজাদা ফারহানের বন্দুক-ভঙ্গিও সেই তালিকায় যোগ হলো। এখন দেখার বিষয়, আইসিসি একে কতটা কঠোরভাবে দেখে।
এমএইচএম