ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চিকিৎসার উন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
চিকিৎসার উন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও নতুন জ্ঞান সৃজন করতে গবেষণার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) নগরের রেডিসন ব্লু আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সিম্পোজিয়ামে তিনি এ কথা বলেন।

‘গবেষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন’ শীর্ষক স্মারক বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বলেন, গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃজন করা জরুরি। কারণ মেডিক্যাল শিক্ষায় গবেষণালব্ধ জ্ঞান বাস্তবিক চিকিৎসা সেবায় কাজে লাগে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণার প্রতি জোর দেন। তিনি মনে করতেন, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি না হলে আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যাবে না।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটি বিশেষ দক্ষতা ছিল। তিনি সহজে সমস্যা খুঁজে বের করতে পারতেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন। তৎকালীন সময়ে তাঁর নেওয়া প্রতিটি উদ্যোগ এখনও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবিক।

চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (সিআইএমসিএইচ), চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ এবং সিআইএমসিএইচ নার্সিং কলেজের যৌথ আয়োজনে এ সিম্পোজিয়ামে তুরস্কের অধ্যাপক ডা. আহম্মেদ ইউরাল, মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ডা. আজরিনা বিনতি এমডি. রালিব, কানাডার ডা. ফৌজিয়া আলভী, নিউজিল্যান্ডের অ্যানি মেরি গঞ্জিয়ার এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি), বিএসএমএমইউ, বিসিপিএস, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতর, সেন্টার ফর মেডিক্যাল অ্যাডুকেশনের প্রধান গবেষকসহ ৩৪ জন তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।  
   
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ডেভেলপমেন্ট ফর অ্যাডুকেশন সোসাইটি অ্যান্ড হেলথের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী দ্বীন মুহাম্মদ। সিআইএমসি’র অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমির হোসেন।
 
চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সিআইএমসি’র মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেহেরুন্নিছা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সিম্পোজিয়ামে ৮টি সেশনে প্যানেল বিশেষজ্ঞ হিসেবে মতামত প্রকাশ করেন চিকিৎসক ও গবেষক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ, বিসিপিএস’র প্রতিনিধি অধ্যাপক ডা. রিদুয়ানোর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, বিএমডিসি’র প্রতিনিধি অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. বাসনা রানী মুহুরী, অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান, অধ্যাপক ডা. মনোয়ারুল হক শামীম।  

অনুষ্ঠানে দেশের মেডিক্যাল গবেষণায় অবদানের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ ও অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানকে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।