চট্টগ্রাম: ডালিম, রনি ও আলম। তারা মানুষের কিডনি ও লিভার পাচারকারী একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য।
অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের আটক করেছে।
চক্রটি কিডনি বিক্রির জন্য এ পর্যন্ত ৪০ জনকে ভারতে পাঠিয়েছে। কিডনি নিয়ে চক্রটির বেশ কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপ সক্রিয়।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) র্যাব-৭ পতেঙ্গা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের আটকের বিষয়টি জানানো হয়। এ সময় তারা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ সদরের আখড়া বাজার এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান রনি (৩৬), মুন্সিগঞ্জ জেলার বাসুদিয়া গ্রামের মো. মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী ডালিম (৩৫) ও মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার সম্বুক এলাকার মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. আলম হোসেন (৩৮)।
র্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, কিডনি ও লিভার পাচারকারী তিন সদস্যের মধ্যে রনি আন্তর্জাতিক ভাবে সম্পৃক্ত। করোনা মহামারির কারণে এত দিন যারা প্রবাসে ছিলেন তাদের অনেকেই বর্তমানে দেশে ফিরে এসেছেন। প্রবাসীদের অনেকেই বিদেশে যাওয়ার আগে বিভিন্ন জনের কাছে ধারদেনা করে গেছেন। দেশে ফিরে আর্থিক সমস্যায় পড়া এ ধরনের লোকদেরই মূলত তারা টার্গেট করে। পাশাপাশি দরিদ্র লোকদেরও টার্গেট করে তারা। বাংলাদেশে এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা ডালিম। ভারতে অবস্থান করা পাচারকারী চক্রের শাহিন নামে একজন বাংলাদেশে রনি, আমলসহ অন্যদের মাধ্যমে কিডনি ও লিভারের ডোনার সংগ্রহ করে থাকেন। ডোনার সংগ্রহ করে তাদের ভারতে পাচারের ব্যবস্থা করে চক্রটি।
র্যাব-৭ জনসংযোগ কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, ‘কিডনির ডোনারদের মোটা অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়ে ভারতে পাঠানো হয়। এ জন্য তাদের পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়াসহ সব ব্যবস্থা করে চক্রের সদস্যরা। প্রতি কিডনি ডোনারের সঙ্গে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় মৌখিক চুক্তি হতো। আর চক্রটি কিডনি বিক্রির জন্য ভারতীয় এজেন্টদের কাছ থেকে নিত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।
সম্প্রতি সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় কিডনি ডোনেট করার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও জানান নিয়াজ মোহাম্মদ চপল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
বিই/টিসি