এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে থাইল্যান্ডের বিমান ধরে বাংলাদেশ দল। নিরাপদেই সেখানে পৌঁছে টাইগ্রেসরা।
থাইল্যান্ডে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক কৃষ্ণা রাণী সরকার ভালো খেলা উপহার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। জানিয়েছেন ভয়কে জয় করার কথা। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের গ্রুপে (বি) রয়েছে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার-আপ জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দল। কোরিয়া ও জাপান চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ হিসেবে এই টুর্নামেন্টে সরাসরি খেলছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো বাছাইপর্ব পেরিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন জানান, ‘আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগুতে চাই। আরও ভালো ফুটবল খেলার মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামবো। এই টুর্নামেন্টে আমাদের মেয়েরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করবে; যেটা আগামীতে আমাদের মেয়েদের ফুটবলের উন্নয়নে সাহায্য করবে। ’
বাংলাদেশের তুলনায় অন্য দলগুলো শক্তিশালী হলেও বাংলাদেশ দুর্বল বলে তাচ্ছিল্য করেননি কেউ। বরং বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে বেশ সমীহ করেছে চীন, জাপান, উত্তর কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের কোচেরা। গোলাম রব্বানী এটিকে প্রেরণা হিসেবেই দেখছেন, ‘এখানে সবাই আমাদের মেয়েদের প্রশংসা করেছে। উত্তর কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া অনেক উঁচুমানের দল। ওদের মন্তব্যগুলো শুনে ভালো লেগেছে। ওরা আমাদের সমীহ করছে, এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। কারণ, আমরা চীন-জাপান-কোরিয়ায় প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছি। কোরিয়ার অনূর্ধ্ব-১৬, জাপানের অনূর্ধ্ব-১৪ দলের সঙ্গে খেলেছি। আমরা এক বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন আমরা মাঠের লড়াইয়ে ভালো করতে চাই। ’
বাংলাদেশ যেমন ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে এসেছে। তেমনি অস্ট্রেলিয়া ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে। বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া গোল করেছিল ৬৫টি। আর গোল হজম করেছিল ১টি। অন্যদিকে বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচে বাংলাদেশ গোল করেছিল ১৬টি। গোল হজম করেছিল ২টি। শক্তিমত্তায় বাংলাদেশের চেয়ে বাকি তিন দলই বেশ এগিয়ে।
১০ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের পর্দা উঠলেও পরদিন মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া। ১৪ সেপ্টেম্বর রানার-আপ জাপানের মুখোমুখি হবে। ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই গ্রুপের শীর্ষ চারটি দল সেমিফাইনালে উঠবে। সেখান থেকে সেরা দুটি দল ফাইনাল খেলবে। চ্যাম্পিয়ন, রানার-আপ ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারী দল অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।
বাংলাদেশ দল:
গোলরক্ষক: মাহমুদা আক্তার, রোকসানা বেগম ও রূপা আক্তার।
রক্ষণভাগ: মাসুরা পারভীন, নারগিস খাতুন, শামসুন্নাহার, শিউলি আজিম, নিলুফা ইয়াসমিন নিলা, আনাই মগিনি ও নাজমা।
মাঝমাঠ: মিশরাত জাহান মৌসুমী, মারজিয়া, সানজিদা আক্তার, মনিকা চাকমা, ইসরাত জাহান রত্না, তহুরা খাতুন, আখি খাতুন, রাজিয়া খাতুন ও মারিয়া মান্ডা (সহ-অধিনায়ক)।
আক্রমণভাগ: কৃষ্ণা রানী সরকার (অধিনায়ক), আনুচিং মগিনি, সিরাত জাহান স্বপ্না ও সুলতানা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি