ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। বিরোধী দলগুলোর এই জোট ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রয়টার্স এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছেন নরেন্দ্র মোদি। পরপর দুটি সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীদের পরাজিত করেছেন। কিন্তু তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই বিরোধীদের ঐক্য বিজেপিকে আগামী নির্বাচনে সমস্যায় ফেলতে পারে।
মানহানির অভিযোগে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে গত সপ্তাহে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পার্লামেন্টেও তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এরপরই বিরোধীরা একত্রিত হতে শুরু করেছে।
বিরোধী রাজনীতিবিদরা বলছেন, গান্ধীকে এই অযোগ্য ঘোষণা এবং তাকে কারাগারে পাঠানো মোদি সরকারের শক্তিশালী কৌশলের সর্বশেষ প্রমাণ। সাম্প্রতিক মাসগুলাতে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকেও তদন্ত এবং আইনি সমস্যার মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে।
রাহুল গান্ধী দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একদিন পরে, ১৪টি রাজনৈতিক দল যৌথভাবে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। তাতে বলা হয়েছে, বিরোধী দলগুলোকে ফেডারেল তদন্তকারী সংস্থাগুলো লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। আদালত ৫ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানি করবেন।
কংগ্রেস সাংসদ এবং রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ভেনুগোপাল রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা বুঝতে পারছি যে এই পরিবেশ খুব বিপজ্জনক। আমাদের এই খারাপ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখনই কোনো জোট ঘোষণা করলে সেটা তাড়াহুড়া হয়ে যাবে...। কিন্তু আমরা একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা একে অপরের সঙ্গে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ২০২৪ সালের নির্বাচনে মোদির ডানপন্থী বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য বিরোধীদলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় রয়টার্সকে বলেছেন, মোদি সরকারের ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপ বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি নতুন সুযোগ দিয়েছে।
বিরোধী দলগুলো বলেছে, তারা পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে যৌথভাবে প্রতিবাদ করবে। একইসঙ্গে আগামী সপ্তাহগুলোতে সারা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের খসড়া পরিকল্পনা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এমএইচএস