করাচি: পাকিস্তানে মঙ্গলবার দুটি পৃথক সহিংসতার ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছে। এনিয়ে গত তিন দিনের সহিংসায় নিহতের সংখ্যা ৫০ জন ছাড়িয়ে গেছে।
করাচির একটি মার্কেটে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১১ জন এবং অপর একটি রাজনৈতিক সহিংসতায় আরও ৮ জন নিহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, করাচির শেরশাহ খাবারি মার্কেটে একদল অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছে। বন্দুকধারীরা মোটর সাইকেলে এসে এলাপাথারি গুলিবর্ষণ করে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরিফ রাজ্জাক নামের অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল হাসপাতাল করচির একজন চিকিৎসক কারার আব্বাস জানান, আমরা নয়জনের মৃহদেহ পেয়েছি।
আব্বাস হাসপাতালের কাছে অপর হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন তার প্রতিষ্ঠান দুই জনের মৃতদেহ এবং আহত ৫জনকে গ্রহণ করেছে।
এদিকে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার একটি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও আট জন নিহত হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার ফয়েজ লেহারি বলেন, ‘প্রদেশের পূর্ব ও পশ্চিমাংশ থেকে যে সহিংসতার সূত্রপাত ঘটেছে সেখানেই আমরা মূলত আক্রমণকারীদের খুঁজছি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, ‘যারা সহিংসতা সৃষ্টি করছে তারা দেশের শত্রু, এই পরিস্থিতিতে তিনি একতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালীক পাকিস্তানের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানান, যারা সহিংসতা সৃষ্টি করছে এবং এতে জড়িয়ে পড়ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মালিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ও আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মধ্যে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।
এমকিউএম দলের সদস্যরা তাদের নেতাদের ওপর গত কয়েক মাসের হামলা, নির্যাতন ও হত্যার চিত্র তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সরকার সঠিক তথ্য না দিলেও, গত ছয় মাসে করাচিতে এ ধরনের সহিংসতায় ২৬০ জনের ও বেশি নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১০৫০ ঘন্টা, অক্টোবর ২০, ২০১০