পোর্ট-অ-প্রিন্স: হাইতিতে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার বলে রোববার জানিয়েছেন হাইতির স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক গাব্রিয়েল থিমোট।
রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে আর্তিবোনিত এলাকায় এই কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশটির রাজধানীতেও পাঁচ জনের কলেরা ধরা পড়ায় তাদের নিরাপদে সাধারণের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।
কলেরা আক্রান্ত মানুষ জ্বর, বমি ও ডায়রিয়ায় ভূগে খুব কম সময়ের মধ্যে মারা যায়।
আক্রান্ত এলাকার হাসপাতালগুলো একের পর এক রোগী আসছে। অনেক হাসপাতালে রোগী রাখার মতো কোনো আর জায়গা নেই।
দেশটিতে গত ১২ জানুয়ারিতে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ২ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং এখনো কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তাঁবুতে বসবাস করছেন। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমেই তাদের মধ্যে কলেরার জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছে বলে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মনে করছেন।
অন্য ঘনবসতি অঞ্চলগুলোতেও কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। বিশেষ করে যেসব শহরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল ও চিকিৎসাসেবা অপ্রতুল।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, আক্রান্ত এলাকায় কলেরা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর মহামারির আকার ধারণ করেছে। তবে নতুন করে কোনো এলাকায় কলেরা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ পরিস্তিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবাইকে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার খেতে হবে। কলেরা যাতে অন্য কোনো এলাকায় ছড়িয়ে না পরে সে দিকে সরকার সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। ’
দেশটির প্রেসিডেন্ট রেনে প্রিভাল ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স লারসেন কলেরা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ সময় : ০৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০