ওয়াশিংটন: পরমাণু জ্বালানি হস্তান্তরের কারণে ইরানকে কঠিন শর্ত মেনে নিতে হবে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বাতিলের চেষ্টা করলে দেশটিকে কঠিন শর্তের মুখোমুখি হতে হবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দেয়।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, ‘তারা এককভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়ে চলেছে। এ পদক্ষেপ নেওয়াসহ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করলে তাদের এর দায়ভার বহন করতে হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞা তাদের অর্থনীতিতে প্রভাব রাখলেও তারা এ ধরনের কাজ করেই চলেছে। ’
এদিকে ওবামা প্রশাসন ও এর ইউরোপিয় মিত্ররা ইরানের উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়।
উল্লেখ্য, গত বছর এ ধরনের একটি নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অজ্ঞাত এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সংবাদপত্রটিকে বলেন, ‘ইরানিরা তাদের অবস্থানে অনড় থাকবে না আলোচনার জন্য প্রস্তুত হবে, এটা এখন তাদের বিষয়। ’
‘তবে এখনই অবস্থান পরিবর্তন না করলে পরিস্থিতি সহজ না হয়ে আরও কঠিন হবে বলে আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইরানকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলো বলে আরেক উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা জানান।
এছাড়া ইউরোপিয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টনের প্রতিনিধিত্বে মধ্য নভেম্বরে ভিয়েনায় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের আলোচনার কথা রয়েছে।
কিন্তু অ্যাস্টনের এ প্রস্তাবেরও এখনও কোনো সারা দেয়নি ইসলামিক রিপাবলিক।
তবে আসন্ন বৈঠকে তেহরান ভিত্তিক গবেষণা চুল্লির জন্য পরমাণু জ্বালানি বিনিময়ে প্রস্তুত বলে সঙ্কেত দেয় ইরান।
এদিকে নতুন এ উদ্যোগও ব্যর্থ হবে বলে নিউইয়র্ক টাইমস আশঙ্কা প্রকাশ করে।
গত বছর ফ্রান্স, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইরানের আলোচনা ব্যর্থ হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১০