সিউল: ৬১ বছর পর ভাইকে দেখছেন ইম জেক অক (৭৬)। আবেগে আত্মহারা অক বলেন, ‘আমার হৃদয় আজ আনন্দে পরিপূর্ণ।
লি মুন ইয়ং (৭০) নামের অপর একজন বলেন, ‘আমি বিনিদ্র রাত কাটিয়েছি। অনেক দিন পর আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হবে- এ উত্তেজনায়। ’
আন্তঃকোরীয় যুদ্ধে (১৯৫০-৫৩) বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলো শনিবার একত্রিত হয়েছে উত্তর কোরিয়ার মাউন্ট কুংগাম অবকাশ কেন্দ্রে। দীর্ঘ দিন পর স্বজনদের দেখে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা। শুক্রবার সীমান্তে দুই কোরিয়ার সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের পরও বন্ধ হয়নি পুনর্মিলনের আয়োজন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ৪৩৫ জনের একটি গাড়িবহর উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে। এ উদ্যোগের মধ্যদিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ৯৭ টি পরিবার তাদের ৯৭ জন আত্মীয়ের সঙ্গে তিন দিন সময় কাটাবেন।
শনিবার থেকে সোমবারের এ সাক্ষাতের পর আগামী বুধবার থেকে শুক্রবার একই স্থানে দক্ষিণ কোরিয়ার ৯৬টি পরিবার উত্তর কোরিয়ার ২০৭ টি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এদিকে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তরক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়া। এর জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা তাৎক্ষণিকভাবে মেশিন গান থেকে তিনবার গুলি ছোঁড়ে। সিউলের জয়েন্ট চীফ অব স্টাফের এক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রী লি জং- জো বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘গুলি বিনিময় সত্ত্বেও পরিবারগুলোর সাক্ষাৎ নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ীই চলবে। ’
তবে পুনর্মিলনে আসা স্বজনরা এর পরিত্রাণ চান। লি বলেন, ভাই-ভাইয়ে সঙ্গে লড়াই করছে। এরচেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে। ’
উল্লেখ্য এটি দুই কোরিয়ার স্বজনদের দ্বিতীয় দফার পুনর্মিলন। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম দফা দুই দেশের বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলো একত্রিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১০