ঢাকা: ধর্ষণ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেছেন ভারতের কর্নাটক রাজ্যের সংসদ সদস্যরা।
তারা বলছেন, ধর্ষণ এবং নারীদের ওপর সহিসংসতার বাড়ার জন্য মোবাইল ফোন-ই দায়ী।
শনিবার রাজ্যের বিধার সভার অধিবেশনে তারা এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন তারা। তাদের এই প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়েছে, রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ কমিটিও।
কমিটি বলছে, মোবাইল ফোন দেখিয়ে মেয়েদের প্রলুব্ধ করে লোকান্তরে নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্ষণ করা হয়। এমনকি মোবাইল স্কুল কলেজে পড়াশোনার পরিবেশকে নষ্ট করছে।
তাই নারীদের ওপর সহিংসতার মাত্রা কমাতে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
কেননা ওই ফোনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন সাইটে অবাধে প্রবেশ করে নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তারা।
সংসদ সদস্যরা বলেন, অনেক শিক্ষার্থী আছে, বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্করা তারা না বুঝেই বন্ধু নির্বাচন করে, যা উৎপীড়নের কারণ হতে পারে।
রিনা পারেইরা নামে এক অভিভাবক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নিরাপত্তা বিষয়ক অ্যাপসহ মোবাইল ব্যবহারকারীর জন্য উপকারী এবং তা অন্যদের সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখে বলে আমি মনে করি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহারের ভালো-মন্দ দিকগুলো শেখাতে হবে। এক্ষেত্রে বেশ যত্নবানও হতে হবে। বিধান সভায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াও বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রগামী কিন্তু শিশুদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে ভাবছি না। বিষয়টি নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ নিয়ে কর্ণাটকে এটাই প্রথম কোনো আলোচনা নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় ধর্ষণ তথা নারীদের শ্লীলতাহানি রোধে বিভিন্ন আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৪